ফিচার

খন্দকার মোশাররফের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের

By Daily Satkhira

December 13, 2018

রাজনীতির খবর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পাকিস্তান ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) এক এজেন্টের সঙ্গে তার ফোনালাপ প্রকাশ হওয়ার পর দাউদকান্দি থানায় এ অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বুধবার রাতে দাউদকান্দি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মেজর (অব.) মোহাম্মদ আলী সুমন এ অভিযোগ করেন।

দাউদকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ড. খন্দকার মোশররফের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

অভিযোগের বিষয়বস্তুতে মোহাম্মদ আলী লিখেন, খন্দকার মোশাররফ হোসেন তার নিজস্ব মোবাইল ফোন দিয়ে দুবাইয়ে অবস্থানরত পাকিস্তান ভিত্তিক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর এজেন্ট মেহমুদের সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কথাবার্তা বলেন। তাদের কথোপকথনের অডিও ক্লিপটি ১১ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ১১টা ৪১ মিনিটে এশিয়ান ট্রিবিউন ও ১২ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক ৯টায় ডিবিসি নিউজে শুনানো হয়। এরপর এটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

উক্ত অডিও ক্লিপ হতে জানা যায়, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধির সঙ্গে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিরুদ্ধে বিভিন্ন কথাবার্তা হয় খন্দকার মোশাররফের। রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে যে কথোপকথনের বিষয়টি পরিষ্কার হয়েছে এই বিষয়টিতে সংক্ষুব্ধ হয়ে মোহাম্মদ আলী অভিযোগ দায়ের করেন বলে অভিযোগের নথিতে উল্লেখ করা হয়।

অভিযোগের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া, অনলাইন ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে থাইল্যান্ড ভিত্তিক পোর্টাল ট্রিবিউনের বরাত দিয়ে আমার সঙ্গে মেহমুদের কথোপকথনের একটি বানোয়াট ফোনালাপের ভিডিও প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। এই ভিডিওটি আমার ভাবমূর্তি নষ্ট, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রচার কাজে বিঘ্ন ঘটানো, আমাকে বিব্রত করা এবং রাজনৈতিক হীন উদ্দেশ্যে বানানো এই বানোয়াট ভিডিওটি প্রকাশ ও প্রচার করা হচ্ছে। যা অনভিপ্রেত। এই বানোয়াট ভিডিওটি হীন উদ্দেশ্যে সৃজিত।

তিনি আরো বলেন, মেহমুদ নামের ব্যক্তিকে আমি চিনি না বা ভিডিওতে কথিত আইএসআই-এর কোন ব্যক্তি বা কর্মকর্তাকেও চিনি না। কথিত এই ব্যক্তির সঙ্গে বা আইএসআই-এর কোন কর্মকর্তার সঙ্গে কখনো আমার এই ধরনের কথোপকথন হয়নি।