স্বাস্থ্য ও জীবন: সরিষার তেল ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। সরিষার তেল ওমেগা ৩, ওমেগা ৬, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন ই ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উৎস। রূপচর্চায় এটি নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন নিশ্চিন্তে। জেনে নিন কীভাবে রূপচর্চায় ব্যবহার করবেন সরিষার তেল- প্রাকৃতিক সানস্ক্রিন লোশন হিসেবে: সরিষার তেলে রয়েছে ভিটামিন ই যা সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মির পাশাপাশি প্রকৃতির অন্যান্য দূষিত পদার্থ থেকে আপনার ত্বককে রক্ষা করে। বাইরে বের হওয়ার আগে সামান্য সরিষার তেল ম্যাসাজ করে নিন ত্বকে। ঠোঁট ফাটা দূর করতে: লিপ বাম ব্যবহার করার পরও ঠোঁট ফাটা থেকে মুক্তি মিলছে না? সরিষার তেল ম্যাসাজ করুন ঠোঁটে। এটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজ হিসেবে কাজ করবে এটি। ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে: মেছতা বা ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে পারে সরিষার তেলের ফেসপ্যাক। বেসনের সঙ্গে পরিমাণ মতো সরিষার তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে ম্যাসাজ করে ঠা-া পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ধীরে ধীরে ফিকে হয়ে আসবে দাগ। অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করতে: সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান যা অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ করে। এজন্য সমপরিমাণ অলিভ অয়েল ও সরিষার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। গরম তোয়ালে দিয়ে চুল পেঁচিয়ে নিন। কিছুক্ষণ পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। চুলের বৃদ্ধি বাড়াতে: সরিষার তেলে থাকা বেটা-ক্যারোটিন, ফ্যাটি অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। দাঁতের যতেœ: লেবুর রসের সঙ্গে সরিষার তেল মিশিয়ে দাঁতে ম্যাসাজ করুন। নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে দাঁতের হলদে ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি দাঁতের গোড়া শক্ত হবে। খুশকি দূর করতে: নিয়মিত মাথার তালুতে সরিষার তেল ম্যাসাজ করলে দূর হয় খুশকি। এছাড়া মাথার ত্বকে অ্যালার্জি থাকলে সেটাও দূর করে সরিষার তেল। প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে: ত্বকে সরিষার তেল ম্যাসাজ করলে লোমকূপের ভেতর থেকে দূর হয় ময়লা। প্রতিদিন বাইরে থেকে এসে সামান্য সরিষার তেল হাতের তালুতে নিয়ে ম্যাসাজ করুন ত্বকে। বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।