আব্দুল জলিল, সাতক্ষীরা: সাতক্ষীরা ১ আসনের কলারোয়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় বিএনপি প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে উপজেলা বিএনপি সভাপতি অধ্যাপক বজলুর রহমান , জেলা ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মমতাজুল ইসলাম চন্দন এবং দুইজন সাংবাদিক রয়েছেন। আজ শুক্রবার দুপুর ১২ টার দিকে কলারোয়া উপজেলা সদরে নেতাকর্মীদের নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেটসহ গনসংযোগ করছিলেন হাবিব। এসময় পেছন দিক থেকে লাটিসোটা , লোহার রড নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে হেলমেটধারী কয়েক যুবকসহ সন্ত্রাসীরা। মারপিটে বিএনপির প্রবীণ নেতা অধ্যাপক বজলুর রহমান মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপরই হাবিবসহ অন্যরা আহত হন। এরা হলেন জেলা বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন, দৈনিক নোয়াপাড়া ও দৈনিক সুপ্রভাতের সাংবাদিক তাজউদ্দিন রিপন ও ফারুক হোসেন রাজ এবং তাকদির রহমান রুবেল। আহতদের কলারোয়া ও সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিএনপি দাবি করেছে আওয়ামী লীগের কয়েকজন ব্যক্তি কলারোয়া থানার কাছে পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলা চালিয়েছে। এমনকি নিকটেই উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি ফিরোজ আহমেদ স্বপন । এই হামলার জন্য তিনিই দায়ী বলে জানান হাবিব। জানতে চাইলে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মারুফ আহম্মদ জানান, তিনি এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর শোনেন নি। তবে উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ স্বপন বলেন ‘শুনেছি তারা নিজেরা মারামারি করেছে। এর সঙ্গে আমাদের দলের কোনো সম্পর্ক নেই’। এদিকে এর আগে ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিব তার বাড়ির আঙ্গিনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি বলেন তার নেতাকর্মীরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। তাদের প্রচার মাইক ভেঙ্গেচুরে দেওয়া হচ্ছে। তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে । তিনি আরও বলেন ধানের শীষ প্রতীকের লিফলেট টানাতে দিচ্ছে না । লিফলেট ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। বিষয়টি রিটার্নিং অফিসার ও পুলিশকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।