স্বাস্থ্য

ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক খাবার

By daily satkhira

December 15, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: বর্তমানে ক্যান্সার একটি ভয়াবহ রোগ। শরীরের অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের মাধ্যমে ক্যান্সারের সৃষ্টি হয়। মরণব্যাধি ক্যান্সার প্রাথমিক অবস্থায় সহজে নির্ণয় করা যায় না। যার কারণে পরবর্তীতে আর বেশি কিছু করার থাকে না। মানবদেহে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার হতে পারে। তবে ঠিক কি কি কারণে ক্যান্সার হয় তা এখনও নিশ্চিত না হলেও গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের খাবার ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক খাবারগুলোর মধ্যে হয়েছে-

১. পটেটো চিপস: স্বল্পমূল্য ও মজাদার খাবারগুলোর মধ্যে পটেটো চিপস অন্যতম। বিশেষত শিশুদের পছন্দের খাবার তালিকার মধ্যে এটি প্রথম সারির। স্বাদে যেমন অতুলনীয় তেমনি এর নেতিবাচক প্রভাবও রয়েছে অনেক। পটেটো চিপসে রয়েছে উচ্চমাত্রার ক্যালরি যা ওজন বৃদ্ধি করে, রক্ত চাপ বৃদ্ধি করে ও ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

২. রেডিমেড খাবার: টিনজাত খাদ্য, টিনজাত বা প্যাকেটজাত টমেটো বিপিএ বা বিশপেনল-এ দিয়ে তৈরি করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে বিপিএ শরীরের ব্যাপক ক্ষতি করে, ব্রেনে প্রভাব ফেলে, ক্যান্সার সৃষ্টিতে ভূমিকা পালন করে।

৩. প্রক্রিয়াজাত সাদা আটা: শর্করা জাতীয় খাদ্য আটা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হলেও প্রক্রিয়াজাত সাদা আটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। কেননা প্রক্রিয়াজাতকরণের ফলে আটা তার পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে। তাছাড়া এটি সংরক্ষণের জন্য ক্লোরাইন গ্যাস ব্যবহার করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

৪. পরিশোধিত চিনি ও কৃত্রিম চিনি: পরিশোধিত চিনি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এটি ওজন বৃদ্ধির জন্য দায়ী। অপরদিকে অনেকেই বিশেষত ডায়বেটিস রোগীরা চিনির বিকল্প হিসেবে কৃত্রিম চিনি খেয়ে থাকেন। কিন্তু গবেষণায় দেখা গেছে এই কৃত্রিম চিনি ডায়বেটিস বৃদ্ধিসহ ক্যান্সার হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।

৫. লাল মাংস: গবেষণায় দেখা গেছে অধিক মাত্রায় লাল মাংস আহারের কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। তাই বিশেষজ্ঞরা লাল মাংস কম খেতে পরামর্শ দেন।

৬. প্রক্রিয়াজাত মাংস: মাংস প্রক্রিয়াজাত করার সময় এর সাথে বিভিন্ন ধরনের বিষাক্ত পদার্থ মেশানো হয়। এর মধ্যে হট ডগ, বেকনসহ বিভিন্ন লাঞ্চের মাংস রয়েছে। এই খাবারগুলো ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের জন্ম দেয়।

৭. হাইড্রোজেনেটেড অয়েল: বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সংরক্ষণের জন্য সাধারণত এই তেল ব্যবহার করা হয়। এই তেল ক্যান্সার সৃষ্টির জন্য দায়ী, কেননা এটি শরীরের সেল তৈরিতে ভূমিকা পালন করে।

৮. স্মোকিং খাবার: পুড়িয়ে বা ভেজে তৈরি করা খাবার যেমন মাংসের কাবাব বা বাদাম স্মোকিং ফুড হিসেবে পরিচিত। মাংসের তৈরি খাবার যেমন বেকন সস, কেলোগানা, সালামিতে প্রচুর চর্বি ও লবণ থাকে। এগুলো পেটে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৯. পপকর্ন: সকলের পছন্দের খাবারের মধ্যে পপকর্ন অন্যতম। এই পপকর্নও মরণব্যাধি ক্যান্সার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।