স্বাস্থ্য

শারীরিক গঠন ঠিক রাখার টিপস

By daily satkhira

December 15, 2018

স্বাস্থ্য কণিকা: শরীরের গঠন ঠিক রাখতে মেরুদণ্ড, কাঁধ ও শরীরের অন্যান্য হাড়ের গঠন ঠিক রাখা জরুরি। কিন্তু দৈনন্দিন কিছু অভ্যাসের কারণে দিন দিন নষ্ট হতে থাকে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক গঠন বা পশ্চার। দীর্ঘ সময় বসে থাকা, ভারি ব্যাগ বহন করা, ঝুঁকে কাজ করা এমনকি উঁচু হিল পরার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় আমাদের শরীরের গঠন। আসুন শারীরিক গঠন ঠিক রাখার কৌশলগুলো জেনে নিই-

সঠিকভাবে ব্যাগ বহন করা ভারি ব্যাগ নিয়মিত বহনের কারণে পিঠে এবং ঘাড়ের প্রচুর ক্ষতি হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ভারি ব্যাগ বহনের ফলে কাঁধের হাড়ে ফাটল ধরা বা বাঁকা হয়ে যাওয়ার সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে বেশি ভারি ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে অবশ্যই দুই কাঁধে ব্যাগ নেওয়া উচিত। এছাড়াও এমন ব্যাগ নিতে হবে যেটার দু’পাশ থেকে আলাদা বেল্ট দিয়ে কোমরের সঙ্গে আটকে রাখা যায়, এতে শুধু কাঁধে নয় পুরো শরীরে ভার বণ্টন হবে।

নিয়মিত হিল পরার ক্ষেত্রে ফ্যাশন সচেতন নারীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে থাকে হাই হিল স্যান্ডেল বা জুতা। কিন্তু নিয়মিত হাই হিল পরার কারণে পিঠে ব্যথা হতে পারে। যারা নিয়মিত হিল পরেন তাদের উচিত মাঝে মধ্যে হিল খুলে পা টানটান করে রাখা। বিশেষত যখন অফিস বা কোথাও বসে থাকেন তখন পা থেকে জুতোজোড়া খুলে রাখতে পারেন। ঘরে ফিরে হালকা ব্যায়াম করুন পায়ের।

দীর্ঘ সময় বসে কাজ করা বর্তমান যুগের কাজ আর ব্যস্ততার দৌড়ে প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করতে হয়, যা আমাদের মেরুদণ্ডের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর দীর্ঘ সময় চেয়ারে বসে কম্পিউটার বা ডেস্কে কাজ করার ফলে ঘাড়ে এবং পিঠে ব্যথা হওয়া খুবই স্বাভাবিক সমস্যা। এক্ষেত্রে কম্পিউটারে কাজ করার ক্ষেত্রে সোজা হয়ে বসে পাজোড়া সামনে সমানভাবে রেখে বসা উচিত। তবে একটানা বসে না থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিরতি নেওয়া উচিত। খানিকটা নড়াচড়া এবং হাঁটাহাঁটি করাও সমস্যা এড়াতে সাহায্য করবে।

হালকা নড়াচড়া করা এক জায়গায় ঠায় বসে না থেকে কাজের ফাঁকে কিছুটা নড়াচড়া করুন। যদি ব্যস্ততার কারণে হাঁটাহাঁটির সুযোগ নাও হয় তবে ঘাড় এবং মাথা হাত দিয়ে মাঝেমধ্যে হালকা ম্যাসেজ করে নিন। এতে শিরাগুলোতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে। আর নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

মানসিক চাপ এড়িয়ে চলা সামাজিক, ব্যক্তিগত এবং কর্মক্ষেত্রেও অতিরিক্ত মানসিক চাপ ও হতাশা শারীরিক গঠনের জন্য ক্ষতিকর। কারণ মানসিক চাপের কারণে বেশিরভাগ মানুষই খানিকটা ঝুঁকে চলেন, যা মোটেও স্বাভাবিক নয়। তাই যতটা সম্ভব মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।