স্বাস্থ্য কণিকা: বর্তমানে অনেক নারীই গর্ভধারণে উর্বরতা সমস্যায় ভুগছেন। এর কারণ হিসেবে আমরা পরিবেশগত পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে থাকি। পাশাপাশি দেরিতে বিয়ে করার কারণেও এ সমস্যায় তৈরি হতে পারে। পরিবেশ দূষণ, খাবারে ভেজাল, কেমিকেলের প্রভাব প্রভৃতি কারণে নারীর উর্বরতা দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এ ছাড়া পুষ্টি উপাদানের অভাবেও নারীর উর্বরতা কমে যেতে পারে। তাই উর্বরতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন সচেতনতা ও সঠিক সময়ে সঠিক খাবার নির্বাচন। নারীর উর্বরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ৫ টি খাবার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। আসুন জেনে নিই খাবারগুলো সম্পর্কে।
ডিম: গবেষণায় দেখা গেছে মাত্র ৭ শতাংশ নারীর শরীরে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন ডি আছে। বাকি সবাই কমবেশি ভিটামিন ডি-এর স্বল্পতায় ভুগছে। গবেষকদের মতে নারীর উর্বরতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আর ডিমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি পাওয়া যায়।
কলা: কলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন আছে। কলা হরমোনের স্বাভাবিক কার্যকলাপকে নিয়ন্ত্রণ করে। নিয়মিত কলা খেলে দুর্বল ডিম্বানু সবল হয় ও উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি৬ অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করতে সহায়তা করে।
বাদাম: বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই আছে। নিয়মিত বাদাম খেলে ভিটামিন ই এর চাহিদা পূরণ হয়। এতে নারীর উর্বরতা বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া বাদামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে যা ডিম্বানুকে রক্ষা করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
মটরশুটি: মটরশুটিতে প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক রয়েছে। এই জিঙ্ক নারীর দেহে হরমোনের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে জিঙ্কের অভাবে এস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের ভারসাম্য নষ্ট হয় ।ফলে গর্ভধারণে সমস্যা হয়। তাই নারীর উর্বরতা বৃদ্ধির জন্য মটরশুটি একটি আদর্শ খাবার।
লেবু: টক জাতীয় রসালো ফল যেমন: লেবু, কমলা ইত্যাদি শরীরের ভারসাম্য ঠিক রাখে। ফলে নারীর গর্ভধারণে সুবিধা হয়।