জাতীয়

গ্রেফতার বন্ধ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে: ঐক্যফ্রন্ট

By Daily Satkhira

December 15, 2018

রাজনীতির খবর: আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার বন্ধ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হবে বলে সরকারকে হুঁশিয়ার করে দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তারা বলেছেন, তা না হলে জনতাই রুখে দাঁড়াবে। বাধা দিলেই বাধা ফিরে আসবে। তখন আমরা দায়ী থাকব না।

ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে নির্বাচনী রোডমার্চের অংশ হিসেবে শনিবার সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় তাদের প্রার্থী অধ্যক্ষ ইকবাল সিদ্দিকীর পথসভায় বক্তব্য দিতে গিয়ে এই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন ফ্রন্টের নেতারা। এদিকে এই প্রচারযাত্রায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাদের সঙ্গে যাননি ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক জগলুল হায়দার আফ্রিক।

শ্রীপুরের পথসভায় জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ‘৭০-এর নির্বাচনে যেমন ভোটের বিপ্লব হয়েছিল, এবারে তেমন বিপ্লবে ধানের শীষের বিজয় হবে। ভোটের দিনের জন্য ‘কেন্দ্র পাহারা কমিটি’ গঠনের আহ্বান জানিয়ে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আবদুর রব বলেন, শুধু ভোট দিলেই হবে না, ভোটের বাক্স যাতে চুরি না হয়, তাও পাহারা দিতে হবে।

পথসভায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকিরের সভাপতিত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আপনারা শুধু পুলিশের দোহাই দেবেন না। তারা রাতে রাতে যায়, আপনারা ধরা দেবেন না।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি- ভোটের যুদ্ধ। প্রত্যেকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইবেন।

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এই সভায় মানুষের অংশগ্রহণই প্রমাণ করে আমাদের আর কোনো ভয় নেই।

পথসভায় আরও বক্তব্য দেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী প্রিন্সিপাল ইকবাল সিদ্দিকী, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান প্রমুখ।

এর আগে গাজীপুর-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকারের সমর্থনে গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি হাসান উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে তার টঙ্গীর বাসভবন প্রাঙ্গণে নির্বাচনী সভায় ফ্রন্টের নেতারা বক্তব্য রাখেন। সেখানেও আব্দুর রব ও অন্যরা বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা বন্ধ করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে নির্বাচনে দেখে ভয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পথ খুঁজছেন। আপনি যদি বিদেশ চলে যেতে চান, তাও দেব। আমরা বিজয়ী হলে বিরোধীদের সঙ্গে নিয়ে দেশ চালাব।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, গাজীপুর-২ আসনে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী সালাহ উদ্দিন সরকার।

এরপর সন্ধ্যায় ময়মনসিংহ-৭ ত্রিশাল আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ডা. মাহবুবুর রহমান লিটনের পক্ষে পথসভায় বক্তব্য দেন জোট নেতারা।

শনিবার সকাল ১০টায় ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ অভিমুখে যাত্রা এবং ভোটের প্রচারণার অংশ হিসেবে বিভিন্ন পথসভায় ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনসহ নেতাদের বক্তব্য রাখার কথা ছিল। বিএনপিকে নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গড়ে ভোটের লড়াইয়ে নামা কামাল হোসেন বুধবার সিলেটে শাহজালালের মাজার জিয়ারতের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু করেন। এদিকে রোববার ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের দিন সকাল ৯টায় সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।