দেশের খবর: একাদশ সংসদ নির্বাচনে সারা দেশে প্রচারণায় আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের মারমুখী আচরণ ঠেকাতে এখনই সেনা মোতায়েনের দাবি করেছে বিএনপি। তবে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) বলছে, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সেনা সদস্যরা মাঠে নামবে।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঙ্গে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ শেষে দলটির ভাইস-চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার, আতাউর রহমান ঢালি। সেলিমা রহমান বলেন, ‘আমরা বলেছি, পুলিশ তো কমিশনের কথা শুনছে না। তাই এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী মাঠে নামান। বিএনপি এখনো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। সেনা নামানো না হলে আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলেবো। সচিব বলেছে আগামী ২৪ ডিসেম্বর সেনা সদস্যরা মাঠে নামবে।’
সেনা নামানো না হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনটা আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ। আমরা নির্বাচনের মাঠে থাকতে চাই। আমরা চাই না কোনো ধরনের সহিংসতা হোক। আমরা এখনো সহিংসতায় যায়নি। এরপর তো আর কিছু বলার নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটা সম্পূর্ণ পাপেট। পুলিশ প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের কথা শুনছে না। সরকার চাচ্ছে দশম সংসদের মতো আরেকটি এক তরফা নির্বাচন করতে।’
বিএনপির এই নেত্রী বলেন, ‘ঢাকাতে এখন পর্যন্ত বিএনপির কোনো প্রার্থী প্রচারণায় নামনে পারেনি। পুলিশ যেন আমাদের প্রতিপক্ষ। তারা আমাদের মাঠে থাকতে দিচ্ছে না।’ তিনি বলেন, ‘সিইসি ইতিমধ্যে বলেছেন- নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড আছে। যেখানে আমাদের নেতাকর্মী-প্রার্থীদের ওপর হামলা হচ্ছে, সেখানে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড কি করে থাকল? লেবেল প্লেয়ি ফিল্ডের সংজ্ঞা কি?’
বিএনপির অভিযোগগুলো কমিশনে আলোচনা করে সে ব্যবস্থা নেয়া হবে ইসি সচিব আসস্থ করেছেন বলে জানান সেলিমা রহমান। দলটির লিখিত অভিযোগপত্রে বিএনপি প্রার্থী মির্জা আব্বাস, মাহবুব উদ্দিন খোকন, গোলাম মওলা রনির স্ত্রীর ওপর হামলাসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় দলটির নেতাকর্মীদের নামে মামলা, গ্রেফতার ও হয়ারানির বিষয় তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপতৎপরতা এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের দ্বারা আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেয়ার দাবিও করা হয়।