আব্দুল জলিল : ১০লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবিতে ২০১৬ সালের ১৩ ডিসেম্বর সীমান্ত আদর্শ কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ও সদর উপজেলার ঘোনা উইনিয়নের মহাদেব নগর গ্রামের মেম্বর গনেশ সরকারের পুত্র গোতম সরকারকে অপহরণ করে। অপহরনের ৪ দিন পর বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে গৌতম সরকারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় গোতমের পিতা উইপি মেম্বর গনেশ সরকার বাদি হয়ে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পুলিশে মামলায় জড়িত সন্দেহ ৫ জনকে আটক করেছে।এদিকে হত্যার মূল পরিকল্পনাকারি জামসেদকে আটক ও গোতম হত্যার বিচারদাবিতে ঘোনা উইনিয়ন বাসি , মাহমুদপুর সীমান্ত আদর্শ কলেজ, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ, মিছিল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলনও স্মারকলিপি প্রদান করে। তবে মামলার মুল আসামি ও তাদের লোকজন গনেশ সরকারের সরকারেরর পরিবারকে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। মুল আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় নিরাপত্তা হীনতায় রয়েছে গনেশ সরকারের পরিবার। জানা যায়, ১৩ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মহাদেবনগর এলাকার চাঁদাবাজ জামশেদকে আটকের পর বাণিজ্য থানা থেকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। ১৩ ডিসেম্বর রাতেই কলেজ ছাত্র গৌতমসরকারকে টেলিফোনে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার ফোন থেকে তার বাবা গনেশ সরকারের কাছে দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। এসময় এলাকাবাসি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে দুই অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশে দেয়। ধৃতদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৭ ডিসেম্বর ভোরে গৌতমের লাশ তার বাড়ির পাশে একটি পুকরে বস্তায় ইট দিয়ে ডুবিয়ে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ ৫জন আসামিকে গ্রেফতার করে। তাদের মধ্যে দুইজন ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এদিকে গোতম সরকার হত্যাকারিদের বিচার দাবিতে ঘোনা উইনিয়ন বাসি, মাহমুদপুর সীমান্ত আদশৃ কলেজ, জেলা হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টান পরিষদ, মিছিল, মানববন্ধন, সড়ক অবরোধ, সমাবেশ , স্মারক লিপি প্রদান করেছে । মুল আসামিরা এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়নি। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তবে পুলিশের ভূমিকা রহস্যজনক। পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার ও মামলায় কোন অগ্রগতি নিয়ে ভূমিকা রাখতে পারছে না বলে এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন। ঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর ও গৌতম সরকারের পিতা গনেশ সরকার জানান, সব আসামি এখন গ্রেফতার হয়নি। বিভিন্ন ভাবে গনেশ সরকার ও তার পবিবারে লোকজনকে হুমকি দামকি দিচ্ছে আসামি ও তার লোকজন। গনেশ সরকারের পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। ঘোনা উইনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারাফ হোসেন জানান, মামলার এফ আই আর ভূক্ত অনেক আসামি গ্রেফতার হয়নি। তারা বিভিন্ন ভাবে গৌতমের পিতা গনেশ সরকারকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। যারা এই মামলার বিচার দাবি করেছে তাদেরকে নানা ভাবে হুমকি ধামকি ও হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এলাকাবাসী দেশের প্রচালিত আইনে এই হত্যার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।