খেলার খবর: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১২তম আসরের নিলামে উঠেছিলেন ৩৫১ জন ক্রিকেটার। তাদের মধ্যে মঙ্গলবার কিছু খেলোয়ার দল পেলেও অবিক্রিত আছেন বেশিরভাগ খেলোয়াড়। দুইবারের সুযোগেও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নজরে আসতে না পেরে অবিকৃত থেকে গেছেন। আবার অপ্রত্যাশিত দামে বিক্রি হয়েছেন বেশ কয়েকজন অনামী ক্রিকেটার। আইপিএলের নিলামের পর কোন দলেই জায়গা হয়নি এমন কিছু স্টার পারফর্মার-
২০০৮ সালে প্রথম আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ১৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংসটা এখনও মনে রেখেছেন অনেকেই। সে বার তাঁর চার-ছয়ে ঝলসে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তবে গত আইপিএলে তাঁকে যেন খুঁজেই পাওয়া যায়নি। ৬ ম্যাচে মাত্র ১২৭ রান। এবারের নিলামে অবিক্রিতই রয়ে গেছেন তিনি। বল বিকৃতিকাণ্ডে ডেভিড ওয়ার্নারের নাম জড়ানোর পর সানরাইজার্স হায়দরাবাদে খেলা হয়নি তাঁর। ফলে একাদশ আইপিএলে দলে আসেন ইংল্যান্ডের অ্যালেক্স হেলস। ৬ ম্যাচে ১৪৮ রানও করেন। তবে দ্বাদশ আইপিএলে ওয়ার্নার দলে আসায় হেলসকে ছেড়ে দেয় সানরাইজার্স। ইদানিংফর্মেও ছিলেন না তিনি। সব মিলিয়ে আইপিএলের নিলামে নজর কাড়তে ব্যর্থ হেলস।
আইপিএলের ১৬ ম্যাচে রান ৫৭৭। স্ট্রাইক রেট ১৪১.৭৬। সব মিলিয়ে ২টো সেঞ্চুরিও রয়েছে। তা সত্ত্বেও কোন এক অজানা কারণে এবারের নিলামে দল পাননি দক্ষিণ আফ্রিকার হাশিম আমলা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দুর্দান্ত ফর্ম দেখালেও টি-টোয়েন্টির ময়দানে এখনও ব্রাত্যই থেকে গেলেন চেতেশ্বর পূজারা। আইপিএলের নিলামে দেখা গেল, তাঁকে নিতে আগ্রহীই নন কোন দলের মালিক।
এবারের নিলামে দল পাননি শ্রীলঙ্কার অলরাউন্ডার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজও। অনেকের মতে, আগামী বছরের আইপিএলে খেলার সুযোগ পেলেও টুর্নামেন্টের মাঝপথেই তাঁকে দেশের হয়ে আইসিসি বিশ্বকাপে খেলতে যেতে হত। সেই সঙ্গে তাঁর বেস প্রাইসটাও দেখুন। ২ কোটি টাকা! হয়তো এ সব মিলিয়েই আইপিএলের কোন দলেই জায়গা হয়নি ম্যাথুজের।
আইপিলের নিলামের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের শিমরন হেটমায়ারকে নিয়ে যখন হইচই হচ্ছে, তখন তাঁরই সতীর্থ জেসন হোল্ডার কোন দলেই জায়গা পেলেন না।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সম্প্রতি শেষ হওয়া ওডিআই সিরিজে ৩ ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে নিজের ফর্ম দেখিয়েছেন ডেল স্টেইন। তবে ৯০টি আইপিএল খেলা ডেলকে নিয়ে আগ্রহই দেখায়নি কোন দল।