জাতীয়

সরকারের ধারাবাহিকতা চান শীর্ষ ব্যবসায়ীরা

By daily satkhira

December 20, 2018

দেশের খবর: বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারকে ‘ব্যবসাবান্ধব’ বলে অভিহিত করেছেন দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেছেন, ব্যবসাবান্ধব এ সরকার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হলে দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। দেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এবং উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নির্বাচনে বর্তমান সরকারের বিজয় প্রত্যাশা করেছেন তাঁরা। বুধবার ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের আয়োজনে ‘শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ব্যবসায়ী সম্মেলনে এসব বক্তব্য তুলে ধরেন ব্যবসায়ী নেতারা। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সারা দেশ থেকে প্রায় আড়াই হাজার ব্যবসায়ী নেতা অংশ নেন। এই ব্যবসায়ী নেতারা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে সংহতি প্রকাশ করেন।

উন্নয়নের স্বার্থে সরকারের ধারাবাহিকতা চাই শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন (সভাপতি, এফবিসিসিআই)

ব্যবসায়ীরা ব্যবসার উন্নয়নের স্বার্থে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা চান। দেশে সমস্যা পাশ কাটিয়ে যাওয়ার একটি নেতৃত্ব রয়েছে এবং আরেকটি নেতৃত্ব রয়েছে সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে পথচলা মসৃণ করা। ব্যবসায়ীরা যার কাছে সমাধান পেয়েছে, তার ধারাবাহিকতা চান। আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের সঙ্গে একমত হয়ে তিনি বলেন, নতুন করে দেশকে গড়তে দুর্নীতিতে কোনো ছাড় দেওয়া যাবে না। এমনকি ব্যবসায়ীদের মধ্যে কেউ থাকলে কিংবা প্রশাসনে দুর্নীতি থাকলে ব্যবস্থা নিতে হবে।

১০ বছরে সবাই ব্যবসা করতে পেরেছেন সালমান এফ রহমান (সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই)

গত ১০ বছর আওয়ামী লীগ সরকার থাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। এতে সবাই লাভবান হয়েছে। দলমত নির্বিশেষে ব্যবসায়ীদের নিরপেক্ষভাবে দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী। ব্যবসায়ীরা কোন দল করে বা আওয়ামী লীগ করে কি না তা কোনো দিন দেখা হয়নি। গত ১০ বছরে সবাই ব্যবসা করতে পেরেছে। কেউ বলতে পারবে না, কোনো ব্যবসায়ীকে হাওয়া ভবনের মতো কোথাও যেতে হয়েছে।

সরকারের অর্জন দেশে বিদেশে প্রতিফলিত মাহবুবুর রহমান (সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই)

বর্তমান সরকারের গত ১০ বছরের অর্জন দেশে-বিদেশে প্রতিফলিত হচ্ছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন অনুসারে সরকার দৃষ্টি দিয়েছে। আগামী নির্বাচনে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসবে, তা ধারণা করা যায়। তবে নির্বাচন যাতে প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এবং সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ন না হয়, সেদিকে প্রধানমন্ত্রী দৃষ্টি দেবেন।

উন্নয়নের স্বার্থে এই সরকারের দরকার মীর নাছির, সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই

বর্তমান সরকার ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখছেন। দেশের উন্নয়নে অনেক বড় বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। আরো উন্নয়নের স্বার্থে আগামীতে এই সরকারের দরকার।

বিদ্যুৎ উৎপাদন ৩ থেকে ২০ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে এ কে আজাদ (সাবেক সভাপতি, এফবিসিসিআই)

প্রধানমন্ত্রী ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেন। তখন তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল। এখন তা ২০ হাজার মেগাওয়াট হয়েছে। আগামী পাঁচ বছর দায়িত্ব পেলে ২৮ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন ছাড়া বিকল্প পথ নেই।

দেশ এগিয়ে নিতে উন্নয়নেরধারাবাহিকতা থাকতে হবে আবুল কাসেম খান, সভাপতি, ডিসিসিআই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ অনেক দূর এগিয়েছে। গত ১০ বছরে দেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দেশ এগিয়ে নিতে বর্তমান সরকারের উন্নয়নে ধারাবাহিকতা থাকতে হবে।

৫০ বিলিয়ন রপ্তানির লক্ষ্য অর্জন সম্ভব সিদ্দিকুর রহমান, সভাপতি, বিজিএমইএ

বর্তমান সরকার ব্যবসাবান্ধব। এই সরকারকে সমর্থন জানাতে ব্যবসায়ীরা একত্র হয়েছেন। আগামী দিনে এ সরকারকে দেখতে চান তাঁরা। নেতৃত্বের ধারাবাহিকতা বাজায় থাকলে এবং ব্যবসায়ীদের সুযোগ সুবিধা অব্যাহত থাকলে ২০২১ সাল নাগাদ ৫০ বিলিয়ন রপ্তানির লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হবে।

সরকার না এলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে না আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ, সাবেক সভাপতি, বিজিএমইএ

আগামী দিনের উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে বর্তমান সরকারের গ্রহণ করা নীতি বাস্তবায়ন করতে হবে। এ জন্য বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন। এর ব্যত্যয় হলে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকবে না।

ব্যবসায়ীদের স্বার্থে সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার আলী হোসেন আকবার আলী, চেয়ারম্যান, বিএসআরএম গ্রুপ

বিএসআরএম ৩০ টন থেকে এখন প্রতিদিন পাঁচ হাজার টন রড উৎপাদন করছে। ২০২১ সালে সাড়ে ৭ হাজার টন রড উৎপাদন করবে। এই উন্নয়ন অব্যাহত রাখার জন্য ব্যবসায়ীদের স্বার্থে বর্তমান সরকারের ধারাবাহিকতা দরকার।

এ সরকারের কারণে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন আনিস উদ দৌলা, চেয়ারম্যান, এসিআই

দেশের ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বর্তমান সরকারের নীতিসহায়তার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে।

এসএমই খাতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে নিহাদ কবির, সভাপতি, এমসিসিআই

গত ১০ বছরে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বৃহৎ খাতের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। দেশের ব্যবসা সহায়কের ভূমিকা অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ব্যবসায়ীরা এই অগ্রগতির ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।

বাংলাদেশ নিয়ে ইতিবাচক বার্তা বহন করছি মাইকেল ফোলি, সিইও, গ্রামীণফোন

আমরা এ দেশ সম্পর্কে তিনটি বার্তা বহন করছি। গত দশ বছরে এ দেশ উল্লেখযোগ্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। অনেক মানুষই বলে এটি মিরাকল। এটি মিরাকল নয় বরং এটি হচ্ছে ভিশন, পরিকল্পনা, নীতি, বাস্তবায়ন, কঠোর পরিশ্রম, সরকারি-বেসরকারি পার্টনারশিপ ও সহযোগিতার ফল।

ডিজিটাল বাংলাদেশের বড় সুবিধাভোগী তরুণ প্রজন্ম সোনিয়া বশির কবির, এমডি, মাইক্রোসফট বাংলাদেশ

ডিজিটাল বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী হবে আমাদের তরুণ প্রজন্ম। ‘আমার গ্রাম আমার শহর’—এ উদ্যোগটি পূরণ করার জন্য প্রযুক্তি প্রত্যেক তরুণের হাতে আমরা এক লাখ গ্রামে পৌঁছে দেব। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করার জন্য আমরা কাজ করে যাব, আমরা আপনার সাথে আছি।

ব্যবসায়ীদের এ যাত্রা অব্যাহত থাকবে ফজলুর রহমান, চেয়ারম্যান, সিটি গ্রুপ

আজকে আমাদের যাত্রা এবং ব্যবসা—আমরা সব ব্যবসায়ী আজ এক জায়গায় সমবেত হয়েছি। আশা করি আগামী দিনে এ যাত্রা চলতে থাকবে চলবে।

ইন্টারনেটের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে সৈয়দ আলমাস কবির, প্রেসিডেন্ট, বেসিস

১০ বছর আগে এক কোটির নিচে মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করত, এখন সেটা দশ গুণ বা ৯ কোটি লোক ব্যবহার করে। এটা অভাবনীয় সাফল্য। ইন্টারনেটের কারণে আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ের ছেলে-মেয়েরা জীবিকা নির্বাহ শুরু করেছে। ই-কমার্সের প্রসার হচ্ছে। বিশেষ করে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে, নারী উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। প্রতিটি ই-কমার্সে আমাদের প্রান্তিক পর্যায়ে যে সাফল্য তা অভাবনীয়। ২০২১ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেখিয়েছেন তা বাস্তবায়ন হবে না, যদি সরকারের ধারাবাহিকতা না থাকে।

প্রধানমন্ত্রী আমার জন্য অনুপ্রেরণা রূপালী চৌধুরী, এমডি, বার্জার পেইন্ট

আমি যেহেতু মহিলা, প্রধানমন্ত্রী আমার জন্য অনুপ্রেরণা। নেতৃত্ব জেন্ডার নির্দিষ্ট না, উনি দেখিয়েছেন; তিনি সারা বাংলাদেশকে চালাচ্ছেন, ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাবেন। আজ যে আমি পটিয়া থেকে এসে একটি বহুজাতিক কম্পানির এমডি হয়েছি, এটাই স্বাধীনতার ফসল। এ জন্য আমি বঙ্গবন্ধুকে সম্মান জানাই। আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের সঙ্গে থাকতে চাই। এফডিআই সংগ্রহে আমরা বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর।

প্রধানমন্ত্রী পাশে বলেই শক্তি পাচ্ছি রুবানা হক, এমডি, মোহাম্মদী গ্রুপ

আমরা যে বাংলাদেশের কথা বলছি, সেটি শুধু পরিসংখ্যানের নয়, সেটি লাল-সবুজ পতাকার একটি গল্প। আমাদের আজকের কথা বলি, আজকে আমরা উদ্যোক্তা। এ উদ্যোক্তা হওয়া ও দায়িত্ব বহন করা—এর কোনোটারই শক্তি আমাদের থাকত না, যদি প্রধানমন্ত্রী আমাদের পাশে না থাকতেন।

আপা আমাদের আস্থা এ কে এম সেলিম ওসমান এমপি

প্রশংসা করতে গেলে দশ বছর সময় লাগবে। আমি শুধু এটুকু বলব—আমরা যারা ব্যবসায়ী, আমাদের একটিই আস্থা, তিনি প্রাণের আপা। আপা মানে সব সমস্যার সমাধান। আমাদের প্রয়োজন, দেশের প্রয়োজন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজন। আপাকে প্রয়োজন আরেকবার। শেখ হাসিনার সরকার, অত্যন্ত দরকার। আমরা তাঁর কাছে প্রতিবারই আশ্বস্ত হয়েছি, ব্যবসা-বাণিজ্যে মনোযোগ পেয়েছি। বোঝাতে পারব না গত দশ বছরে কী পেয়েছি। নিশ্চয়ই বলব, আমরা সবাই ভালো আছি।

প্রধানমন্ত্রী অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন আতিকুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি, বিজিএমইএ

একটি কথা আছে—যদি সেটা আমার নয় তবে কার? যদি সেটা এখন নয় তবে কখন? সেই ভিশনের নেতা হচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি। আপনি প্রমাণ করেছেন, অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। আপনি ২০০৮ সালের ১৬০০ টাকা থেকে শ্রমিক ভাই-বোনদের বেতন করেছেন আট হাজার টাকা। আমরা চাই, নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকা হয়ে গাজীপুর পর্যন্ত একটি পাতাল রেললাইন। এটি আপনি করতে পারবেন।

স্টিল খাতের সক্ষমতা হবে ৮৫ লাখ টন মানোয়ার হোসেন, এমডি, আনোয়ার গ্রুপ

২০০৮ সালে আমাদের স্টিল খাতের সক্ষমতা ছিল মাত্র ১৬ লাখ টন। আজকে ক্যালেন্ডার বছর আমরা শেষ করব ৫৫ লাখ টনে। ২০০৮ সালে স্টিল খাতে কর্মরত ছিল ৬০ হাজার কর্মী। এ বছর আড়াই লাখ লোক কাজ করছে। ২০০৮ সালে আমাদের বিদ্যুৎ চাহিদা ছিল মাত্র ৯২ মেগাওয়াট, এখন সেটা ৪৯২ মেগাওয়াট। আমরা ৮৫ লাখ টন সক্ষমতা নিয়ে আপনার সঙ্গে আগামীতে থাকব।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় প্রধানমন্ত্রীর মানবতার বড় দৃষ্টান্ত আহমেদ আকবর সোবহান, চেয়ারম্যান, বসুন্ধরা গ্রুপ

বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘আজকে দেশের ব্যবসায়ী ও শীর্ষ ব্যক্তিরা এক জায়গায়, এক পতাকাতলে সমবেত হয়েছি। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত, আজকে আমাদের মাঝে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির সন্তান জননেত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত রয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নাম এ দেশে লাখো কোটি বছর থাকবে, তিনি সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন আর আমাদের প্রধানমন্ত্রী সোনার বাংলাদেশের বাস্তবায়ন ঘটাচ্ছেন। আজ আমরা বিশ্বে সবার কাছে ঈর্ষণীয়। সারা বিশ্ব বাংলাদেশের দিকে তাকিয়ে, কিভাবে তারা জিডিপি ৭ শতাংশে নিয়ে গেল।

আমি শুধু তাঁর একটা মানবিকতার কথা বলব। ‘প্রধানমন্ত্রী যদি না চাইতেন তাহলে একজন রোহিঙ্গাও এ দেশে ঢুকতে পারত না। কিন্তু তিনি মানবতার উত্কৃষ্ট উদাহরণ রেখে গেলেন, ২০ লাখ রোহিঙ্গাকে বাসবাস করতে দিলেন, সব কিছু টেক কেয়ার করছেন। আমার ১০ বছর আগের আরেকটি কথা মনে পড়ল এই মুহূর্তে। তখন বসুন্ধরা সিটিতে আগুন লেগেছিল। তিনি বসুন্ধরা সিটির আগুন সুধা সদন থেকে বসে মনিটর করছিলেন। সেনাবাহিনী দিয়ে পুরো বসুন্ধরা সিটি পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন, তা না হলে ওই দিনই বসুন্ধরা সিটি শেষ হয়ে যেত। তিনি যে মহান নেত্রী—সবার মা, সবার বোন, এটাই তার প্রমাণ।

যদি আমরা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে থাকি, আপনারা সবাই একসঙ্গে হাতে হাত রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনেন। আমরা যেন মাথা উঁচু করে বলতে পারি—আমেরিকা, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, কারো চেয়ে কম নয় এ দেশ। মিরসরাইতে আমরা ৫০০ একর জায়গা নিয়েছি হেভি ইন্ডাস্ট্রি করব বলে। আমার ছোট ছেলে বেজার চেয়ারম্যানকে বলেছে ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ লাগবে। তিনি বললেন, এটা কোনো ব্যাপারই নয়। ২০০৮ সালে যখন বিদ্যুৎ চাইতাম, এক মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এক বছরেও পেতাম না। এ দেশে ব্যবসা করা যত সহজ, বিদেশে এত সহজ না। এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে আরো অনেক সাহায্য-সহযোগিতা পাবেন।’