খেলা

সর্বোচ্চ স্কোরের রেকর্ড গড়ল টিম টাইগার

By daily satkhira

December 20, 2018

খেলার খবর: শুরুটা করেছিলেন দুই তরুণ; আর শেষটা রাঙিয়ে গেলেন ফ্যান্টাস্টিক ফাইভের দুই সিনিয়র। লিটন-সৌম্য-সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে চড়ে রানের পাহাড় গড়ল টিম টাইগার। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে টাইগারদের স্কোর ২১১ রান। আর ৫ রান করলেই টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ স্কোরের আগের রেকর্ড ভেঙে যেত। চলতি বছরেই শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফিতে স্বাগতিকদের ২১৪ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে ২১৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবে আগে ব্যাট করে এটাই বাংলাদেশের সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি স্কোর। গত জানুয়ারিতে মিরপুরে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৫ উইকেটে ১৯৩ রান ছিল এতদিনের সর্বোচ্চ।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন লিটন দাস। অন্যপ্রান্তে থাকা দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবাল আগের ম্যাচের মতোই জীবন পেয়ে কাজে লাগাতে পারেননি। বাঁহাতি স্পিনার ফ্যাবিয়ান অ্যালেন বলটি তামিম উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ দেন কটরেলের হাতে। ভাঙে ৪২ রানের ওপেনিং জুটি। বিধ্বংসী লিটন দাসের সঙ্গী হন সৌম্য সরকার। টাইগারদের রানের গতি যেন আরও বেড়ে যায়।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে বাংলাদেশ তুলেছে ৬১ রান। লিটনের অবদান ১৯ বলে ৪১। ২৬ বলে ৫টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন লিটন দাস। এই উইন্ডিজের বিপক্ষেই সর্বশেষ সিরিজে ২৪ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন লিটন। আজ অপর প্রান্তে জ্বলে ওঠেন সৌম্য সরকারও। উইকেটের চারদিকে দেখা যায় দৃষ্টিনন্দন সব শট। ১০.১ ওভারেই টাইগারদের স্কোর ১০০ ছাড়িয়ে যায়।

দারুণ জমে গিয়েছিল দ্বিতীয় উইকেটে সৌম্য-লিটনের জুটি। দলকে এগিয়ে নিতে যা যা করা দরকার সেটাই করছিলেন এই দুজন। মাত্র ৭ ওভারে এসে যায় ৬৮ রান। যাতে সৌম্য সরকারের অবদান ২২ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩২। সম্ভাবনাময় ইনিংসটি শেষ হয় কটরেলের বলে পুল করতে গিয়ে ব্র্যাথওয়েটের হাতে ধরা পড়ে। প্রথমে লাফিয়ে উঠে বলটি এক হাতে থামিয়ে দ্বিতীয় দফায় তালুবন্দি করতে সফল হন ৬ ফুট ৩৩ ইঞ্চি উচ্চতার উইন্ডিজ অধিনায়ক। ১১০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

সৌম্যর বিদায়ের পর লিটনও টিকতে পারেননি। শিকারী সেই কটরেল। একই ওভারে বোল্ড হয়ে শেষ হয় ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারি এবং ৪ ওভার বাউন্ডারিতে গড়া লিটনের ৬০ রানের অসাধারণ ইনিংস। এই দুই ব্যাটসম্যান যখন বিদায় নেন, বাংলাদেশ তখন ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১৩ রান তুলে ভালো অবস্থানে। থমাসের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন ১ রান করা মুশফিক। অধিনায়ক সাকিবের সঙ্গে হাত খুলে খেলতে শুরু করেন মাহমুদউল্লাহ।

লিটন-সৌম্য যে ভিত্তি গড়ে দিয়ে গিয়েছিলেন, তার ওপর দাঁড়িয়ে তাণ্ডব শুরু করেন সাকিব-রিয়াদ। দুজনের জুটি ছাড়িয়ে যায় পঞ্চাশ। শেষ পর্যন্ত অবিচ্ছিন্ন পঞ্চম উইকেট জুটিতে আসে ৯১ রান। সাকিব খেলেন ২৬ বলে ৫ চার ১ ছক্কায় অপরাজিত ৪২* রানের বিধ্বংসী ইনিংস। আর মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৭ বাউন্ডারিতে ৪৩ রানে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২১১ রান তোলে টিম টাইগার।