অনলাইন ডেস্ক: এতদিন মানুষ সৌরজগতের বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন এই আটটি গ্রহের কথা জানতো। তবে এবার নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সৌরমণ্ডলের নাকি আরো একটি গ্রহ রয়েছে! সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্বের ১২০ গুণ দূরত্বে অবস্থান করছে নতুন এই গ্রহ। এর আগে সৌরমণ্ডলের সূর্য থেকে এত দূরে থাকা কোনো মহাজাগতিক বস্তুর দেখা মেলেনি। নতুন গ্রহটির নাম দেয়া হয়েছে‘২০১৮-ভিজি-১৮’ যার ডাক নাম ‘ফারআউট’। সৌরমণ্ডলের একেবারে শেষ প্রান্তে থাকা ফারআউটের সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এক হাজার বছর সময় লাগে।
সোমবার ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল ইউনিয়নের মাইনর প্ল্যানেট সেন্টারের পক্ষ থেকে সৌরজগতের নবম গ্রহ আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করা হয়। নতুন এই গ্রহটি আবিষ্কার করেছেন কার্নেগি ইনস্টিটিউশন অব ওয়াশিংটনের জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট এস শেপার্ড। সহযোগী আবিষ্কারাদের মধ্যে রয়েছেন হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডেভিড থোলেন ও নর্দার্ন অ্যারিজোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চাদ ক্রজিল্লো।
সৌরমণ্ডলের শেষ প্রান্তে একেবারে ‘প্রাচীর’ ঘেঁষে রয়েছে বলেই তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফারআউট’। সূর্য থেকে যতটা দূরে রয়েছে প্লুটো, তারও তিন গুণ বেশি দূরত্বে রয়েছে ফারআউট। এর আগে এই সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে দূরে থাকা যে মহাজাগতিক বস্তুটির হদিস মিলেছিল, তার নাম -‘এরিস’। সূর্য থেকে আমরা যতটা দূরে রয়েছি, তার ৯৬ গুণ দূরত্বে রয়েছে ‘এরিস’। যার মানে, সূর্যের থেকে দূরে থাকার প্রতিযোগিতায় এরিসকেও ছাড়িয়ে গেলো ফারআউট।
এক সময় প্লুটোকে ৯ম গ্রহের স্বীকৃতি দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ‘প্লুটো’ গ্রহের মাণদণ্ড হারিয়ে ‘বামন গ্রহে’ পরিণত হয়। ফারআউটের আবিষ্কারকরা মনে করছেন, সদ্য আবিষ্কৃত মহাজাগতিক বস্তু ‘ফারআউট’ হতেও পারে এই সৌরমণ্ডলের ‘দূরতম গ্রহ’। তবে এ ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নন গবেষকরা। তারা জানিয়েছেন, ফারআউট গ্রহ কি না, তা জানতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। কার্নেগি ইনস্টিটিউশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফারআউট সূর্যকে এত ধীরে প্রদক্ষিণ করছে যে, সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে এক হাজার বছর সময় লাগে।-এনবিসি নিউজ