কলারোয়া প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহর নির্বাচনী আঞ্চলিক অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় দুর্বৃত্তরা ১২/১৪ টি ককলেট বিস্ফোর করে এলাকা ত্রাস সৃষ্টি করে। এতে নৌকার প্রার্থীর নির্বাচনী জরুরি কাগজপত্রসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির কিছু অংশ পুড়ে য়ায়। বৃহস্পতিবার (২০ ডিসেম্বর) দিনগত রাত দেড়টার দিকে দূর্বৃত্তরা এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে কলারোয়া উপজেলা ওফাপুর মোড়ে আ.লীগের আঞ্চলিক নির্বাচনী অফিসে ৪৫ থেকে ৫০ জনের অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এ হামলা চালায়। এসময় তারা অফিসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে অফিসের ভেতরে থাকা নির্বাচনী পোষ্টার, চেয়ার-টেবিল ও নির্বাচনী জরুরি কাগজপত্র পুড়ে যায়। সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনে নৌকার প্রার্থী এড.মুস্তফা লুৎফুল্লাহ বলেন, শুধু তাদের নির্বাচনী অফিস নয়, ওই রাত থেকে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন নির্বাচনী অফিসগুলোতে ধারাবাহিকভাবে এ হামলা চালিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছে তারা। এসব ঘটনায় বিএনপির প্রার্থীর লোকজন জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন কলারোয়া উপজেলা আ.লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ স্বপন। উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আরএম সেলিম শাহনেওয়াজ জানান, বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। কোনোভাবেই নির্বাচনী পরিবেশ বিঘœকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মারুফ আহম্মেদ জানান-ওই রাতে খবর পেয়ে সাতক্ষীরা গোয়েন্দা শাখার ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনা স্থান যান এবং সেখান থেকে একটি তাজা ককটেল উদ্ধার করেন। এসময় ওই স্থান থেকে উপজেলার ক্ষেত্রপাড়া গ্রামের মৃত আঃ করিম মোড়লের ছেলে আঃ সাত্তার মোড়ল (৬০), রাজনগর গ্রামের মৃত রুপচাঁদ দফাদারের আঃ রউফ (২৫), ফয়জুল্লাপুর গ্রামের আঃ গফুর মাস্টারের ছেলে আসাদুজ্জামান (৪০), কুশোডাঙ্গা গ্রামের মৃত বাবর আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৪৬), পাচনল গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে মহিদুল ইসলাম (২৫), গাজনা গ্রামের মৃত আঃ জব্বারের ছেলে আঃ মাজেদ (৫৫), মানিকনগরের মৃত হাবিল মোড়লের ছেলে মোকফার মোড়ল (৫৩), ধানদিয়া গ্রামের তোফাজ্জেল মোড়লের ছেলে ইউনুচ আলী (৫০) সহ ৮বিএনপির নেতাকর্মীকে আটক করা হয়। এঘটনায় কলারোয়া থানায় একটি মামলা নং-১৭(১২)১৮ দায়ের হয়েছে।