অনলাইন ডেস্ক: কোনো চিত্রনাট্য নয় ৷ বাস্তব কাহিনি ৷ শিক্ষিকার লালসার শিকার হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি হল ছাত্রের ৷ মারাত্মক অসুস্থ হয়ে শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই ভেঙে পড়ে ছাত্রটি ৷ ঘটনাটি ঘটেছে কানাডাতে ৷
হ্যারির (নাম পরিবর্তিত) শিক্ষিকা ছিলেন কাইলা ৷ ছাত্রকে দারুন মনে ধরেছিল তার ৷ হ্যারির বাস্কেট বলের প্রশিক্ষক ছিল সে ৷ হ্যারির মনরোগ হয়েছে ৷ তাই তার খেলাধুলার প্রয়োজন, হ্যারির মাকে এই বলেই নিজের বাস্কেট বল ক্লাসে নিয়ে আসে কাইলা ৷ তারপর হ্যারির সঙ্গে কাটাতে শুরু করে সময় ৷ এরপর সে হ্যারির ক্লাস টিচারের দায়িত্বও নেয় ৷ কথাবার্তা বাড়তে থাকে দুজনের মধ্যে ৷ নানা অছিলায় হ্যারিকে কাছে পেতে চায় সে ৷ এমনকি শুরু করে অশ্লীল ছবির আদানপ্রদানও ৷ হ্যারির বয়স তখন ১২৷ শিক্ষিকার আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারে না সেও ৷ শুধুই কাইলার প্রতি দুর্বল হতে থাকে সে ৷ এক সময় কাইলা তাকে স্পর্শ করে এবং তার সঙ্গে জীবন কাটানোর কথাও বলে সে ৷ নিজের বিবাহিত জীবন যে সুখের নয় হ্যারিকে জানিয়েছিল কাইলা ৷
কিন্তু তারপরই হঠাৎ একদিন হ্যারির সঙ্গে সব সম্পর্ক চুকিয়ে বেপাত্তা হয় কাইলা ৷ মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে হ্যারিও ৷ প্রথমে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি সে ৷ পরে তার একটি চিঠি পেয়ে যায় তার বোন ৷ সেই থেকেই হ্যারির যৌন হেনস্থার কথা জানতে পারে পরিবার ৷ সকলেই পাশে থাকে তার ৷ পুলিশে অভিযোগ করা হয় ৷ কাঠগোড়ায় ওঠে কাইলা ৷ নিজের দোষ শিকার করে কাইলা ৷