অনলাইন ডেস্ক: কয়েক দিন আগেই হয়ত দেখা হয়েছিল কোন একজনের সঙ্গে। কথাও হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ মনে করতে গিয়েও কিছুতেই মনে করতে পারছেন না। কোন একটা জিনিস হয়ত খুব যত্ন করে তুলে রেখেছেন কোথাও। কিন্তু কাজের সময় কিছুতেই আর মনে করতে পারছেন না যে কোথায় রেখেছেন। এরকম হতে থাকলেই অনেকে ভয় পান। ভাবেন, এই বুঝি অ্যালঝাইমার্সের পূর্বলক্ষণ। কিন্তু সত্যিই কি তাই! এত গুরুতর কিছু, নাকি ছোটখাটো অবহেলার কারণেই এই অবস্থা? ভুলে যাওয়ার রোগ মানেই বড় অসুখ নয়। বরং ছোটখাট কিছু জিনিস খেয়াল রাখলেই এর প্রতিকার মেলে। এ থেকে রেহাই পেতে অনুসরণ করুণ কিছু উপায়:
শব্দ নিয়ে খেলা: শব্দ নিয়ে খেলতে থাকলে ভুলে যাওয়ার সম্ভবনা কমে। ধরুন ই-মেইলের পাসওয়ার্ডের ক্ষেত্রে এমন একটা পাসওয়ার্ড দিলেন, যার এক একটা অক্ষর এক একটি শব্দের আদ্যাক্ষর। আর সবগুলো মিলিয়ে একটা বাক্য, যা হয়ত আপনার জীবনের খুব প্রিয় কোন ঘটনাকে বর্ণনা করছে। এরকম পাসওয়ার্ড থাকলে ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা খবুই কম। এটিএম পিনের ক্ষেত্রেও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ কোন সংখ্যা ব্যবহার করা যেতে পারে। লিখে ফেলা: কোন দরকারি জিনিস চট করে কোথাও লিখে রাখুন। পরে যদি হাতের কাছে লেখা কাগজটি নাও পান, তবু কী লিখেছেন মনে করতে গিয়ে অনেক সময় আসল জিনিসটা মনে পড়ে যায়। পড়ার পর ছাত্রদের ঠিক যে কারণে লিখতে বলা হয় এখানেও সেই একই যুক্তি কাজ করে। লেখার এই অভ্যাস ভুলে যাওয়ার হাত থেকে আপনাকে বাঁচাবে।
স্মৃতিকে চ্যালেঞ্জ করুন: আসলে চ্যালেঞ্জ জানান মস্তিষ্ককে। ক্রসওয়ার্ড পাজল খেললে এরকম মস্তিষ্কের ব্যায়াম হয়। এতে অনেক ভুলে যাওয়া জিনিসও মনে পড়ে যায়।
বারবার এক জিনিস বলা: ধরা যাক নতুন কোন নাম বা ঠিকানা আপনাকে মনে রাখতে হবে। সেই শব্দটি বারবার করে বলতে থাকুন। এক কথা বারবার বললে তা মনে থাকতে বাধ্য।
লাইফস্টাইল: স্মৃতিভ্রংশের জন্য অনেকাংশেই দায়ী লাইফস্টাইল। অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনের কারণে কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেসার ও ব্লাড সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা হয় এবং স্মৃতিশক্তিও কমে যায়। চর্বি ও স্নেহপদার্থ জাতীয় খাবার যারা বেশি খান তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যেতে পারে। সুতরাং জীবযাপনের ধরণ বদলালে এ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।