জাতীয়

সেনা মোতায়েন হলে ‘আস্থা’ ফিরবে, আশা রিজভীর

By daily satkhira

December 22, 2018

দেশের খবর: সেনাবাহিনী মোতায়েন হলে নির্বাচনের এখনকার পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটবে এবং জনগণের মধ্যে ‘আস্থা ফিরে’ আসবে বলে আশা করছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

রিজভী বলেন, ‘সশস্ত্র বাহিনী হচ্ছে সার্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতীক। ভোটের মাঠে তাদের অবস্থানে জনগণের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে এবং একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে বলে মনে করছি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের একটি ভরসা আছে। তাদের মোতায়েন করা হলে সন্ত্রাসীরা জাল ভোট দিতে পারবে না এবং রাতের অন্ধকারে ব্যালট বাক্স ভর্তি করতে পারবে না— এটা জনগণের বিশ্বাস। আর জনগণের এই বিশ্বাসটুকু সেনাবাহিনীর সদস্যরা রক্ষা করতে পারবেন— এটা জেনেই দলমত নির্বিশেষে বিরোধী দল বার বার সোচ্চার কণ্ঠে সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে। কিন্তু সরকার নানা টালবাহানা করে এখনও পর্যন্ত সেনা মোতায়েন করেনি। এখন বলছেন ২৪ তারিখে নামাবেন।’

ভোট জালিয়াতির করতে আওয়ামী লীগ নানা পরিকল্পনা নিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, ‘ভোটের দিন অপেক্ষাকৃত যুবক বয়সের কর্মীরা সিল মারার দায়িত্বে থাকবে, পাঁচজন করে কেন্দ্রভিত্তিক সিল মারা গ্রুপ ঠিক করা হয়েছে। ২৯ তারিখ রাতে ৩০ শতাংশ ভোট সিল মারা হলে তারা কেন্দ্র থেকে চলে যাবে, রাত ও দিনের বেলা কেন্দ্রের বাইরে পাহারা দেওয়ার জন্য কর্মীদের দ্বারা পৃথক টিম গঠন করে দিয়েছে পুলিশ।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পুলিশ-প্রশাসন ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থে নির্বাচন একতরফা করতে সব শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেন মরণকামড় দিচ্ছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের চালুনি দিয়ে ছেঁকে তুলছে। সারাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দেওয়া হচ্ছে। নেতাকর্মীদের না পেয়ে নারী সদস্যসহ পরিবারের লোকজনদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং কোথাও কোথাও বিএনপি নেতাকর্মীকে না পেয়ে তাদের স্ত্রী ও সন্তানদের ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’

রিজভী বলেন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত মামলার সংখ্যা ২৫৮টি। এজাহারে জ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৪২ হাজার ৬৬৩ জন, অজ্ঞাত আসামির সংখ্যা ৩৬ হাজার ৮৮৩ জন, গ্রেফতারের সংখ্যা ৬ হাজার ৬৭৫ জন এবং হত্যার সংখ্যা চারজন।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমুর আলম খন্দকার, কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, মুনির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।