দেশের খবর: আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সাবেক সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টায় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) এসে সিইসির কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন লতিফ সিদ্দিকী। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, ‘দেশে নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই, আমার কারণে আমার নেতা কর্মীরা মার খাবে তা আমি মেনে নিতে পারবো না। তাই আমি নিজ থেকেই নির্বাচন থেকে সরে যাচ্ছি।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘অত্যন্ত ভরাক্রান্ত হৃদয়ে জানাচ্ছি যে, আমি ১৩৩ টাঙ্গাইল-৪ জাতীয় সংসদ আসনে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলাম। কিন্তু পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে নির্বাচন করার পরিবেশ নেই। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় রাজনৈতিক দলে, নেতায় নেতায় জনমতকে পক্ষে পাওয়ার থাকে ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য বালু ব্যবসায়ী এবং মাদক ব্যবসায়ী সাথে নিয়ে পুলিশের ছত্রছায়ায় আমার উপর হামলা করে গাড়ি ভাঙচুর করে, ২০/২১ জন সমর্থক আহত হয়।’ তিনি আরও বলেন, এলাকাকে ত্রাস ও সন্ত্রাসের জনপদে পরিণত করেছে। আমি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘদিন পুলিশী জুলুমের বিরদ্ধে লড়েছি, কিন্তু পুলিশ এমন উলঙ্গভাবে কোনো প্রার্থীর সমর্থন করে নিরীহ মানুষদের হুমকি দেয়, আমার মিছিল বন্ধ করে সংসদ সদস্যের মিছিলে সহযোগিতা করে এমন দেখেনি। পুলিশের অত্যাচারের পরও আন্দোলন করা যায়, পুলিশ বিপক্ষে অবস্থান নিলে নির্বাচন করা যায় না। লতিফ সিদ্দিকী আরও বলেন, প্রতিদিন আমার সমর্থকদের গ্রেফতার করে হয়রানি করছে। সংসদ সদস্যের সরাসরি হস্তক্ষেপে, ভরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার উসকানিতে আসার অফিস ভেঙে দিচ্ছে। পরিস্থিতি এহেন অবনতিতে আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে। আমি আপনার মাধ্যমে দেশবাসীকে জানাতে চাই, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ালাম। আমি অসম্মানিত হই সম্মানিত হওয়ার জন্য।