বিনোদন

বছরের শেষদিকে শুটিংয়ে সরগরম এফডিসি

By daily satkhira

December 24, 2018

বিনোদনের খবর: দিনের পর দিন ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ছবি নির্মাণ কমেছে। সে সঙ্গে কমেছে শুটিং হাউসের ব্যস্ততাও। ছবি নির্মাণের একমাত্র সরকারি প্রতিষ্ঠান এফডিসিতে গেলে বেশিরভাগ সময় নিস্তেজ মনে হয়। কিন্তু বছরের শেষ সময়ে এসে কিছুটা সতেজতা ফিরেছে এফডিসিতে। দু’দিন থেকে এফডিসি মুখরিত কয়েকটি ছবির শুটিং নিয়ে।

এফডিসির প্রধান গেটের কাছাকাছি চার নাম্বার ফ্লোরে শুটিং করছেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অবতার নামে একটি ছবির মাধ্যমে আবারও শুটিংয়ে ফিরেছেন এ নায়িকা। ছবিটির আইটেম গানের শুটিং দিয়েই কাজ শুরু করেছেন তিনি। ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করবেন নবাগত রউশো।

শুটিংয়ে ফেরা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাজ তো নিয়মিতই করতে চাই। কিন্তু ছবি নির্মাণের সংখ্যাই তো কমে গেছে। তাই ইচ্ছা থাকলেও এখন আর নিয়মিত কাজ করা হচ্ছে না।’ নতুন এ ছবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ভিন্ন এক গল্পের ছবি এটি। আমার চরিত্রও ভিন্নতা রয়েছে। এর বেশি কিছু বলতে চাই না।’

শিল্পী সমিতির পাশে চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোরের গলিতে কৃত্রিম ট্রাফিক জ্যাম তৈরি করে শুটিং করা হচ্ছিল ‘জ্যাম’ নামে একটি ছবির। নঈম ইমতিয়াজ নেয়ামুল পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করছেন আরেফিন শুভ ও পূর্ণিমা। তারা দু’জনেই এফডিসিতে এ ছবির শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন।

বিশেষ করে এ ছবির মাধ্যমে পূর্ণিমার প্রত্যাবর্তন ঘটছে। এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা বলেন, ‘ভালো কিছুর জন্য অপেক্ষা করেছি। অবশেষে সেটা পেয়েছি। শুটিং শুরু করেছি।’ আবারও ছবিতে নিয়মিত দেখা যাবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আশা তো করছি। বাকিটা সময়ই বলে দেবে।’

ঢাকাই ছবির সেরা নায়ক শাকিব খানের শুটিংও চলছে এফডিসিতে। ছবির নাম ‘একটু প্রেম দরকার’। শাহীন সুমনের পরিচালনায় এ ছবিতে নায়িকা হিসেবে রয়েছেন বুবলী। এ নায়িকাও কিছুদিন বিরতির পর ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন।

এ প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘শাকিব খানের শিডিউলের সঙ্গে মিলিয়েই ছবির কাজ করতে হচ্ছে। তাই কিছুদিন বিরতি ছিল। এবার টানা কাজ করে এ ছবির কাজ শেষ করার চেষ্টা করব।’ এমনিতে শাকিব খানের উপস্থিতি মানেই এফডিসিতে প্রাণের সঞ্চার। প্রায়ই তিনি এফডিসিতে শুটিং করেন। যথারীতি গত দু’দিনও তার উপস্থিতিতে এফডিসি ছিল সরগরম। এ নায়ক বলেন, ‘এখন তো ছবি নির্মাণের হার একেবারেই কমে গেছে। আমি চেষ্টা করছি কিছুটা ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে। একাই তো টেনে যাচ্ছি ইন্ডাস্ট্রি। সবাই যদি এক হতে না পারে তাহলে এভাবেই শূন্য এফডিসি নিয়েই পড়ে থাকতে হবে।’

এছাড়াও সদ্য প্রয়াত প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক আমজাদ হোসেনের জানাজাও এফডিসিতে হয়েছে। সেই উপলক্ষে পুরনো অনেক সহকর্মীর মধ্যে দেখা সাক্ষাৎও হয়েছে। শুটিংমুখর এফডিসি দেখে নস্টালজিয়ায় ফিরে গেছেন তারাও। বছরের শেষদিকে এসে প্রাণবন্ত এফডিসি দেখে অনেকেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। আবার অনেকে স্মৃতিচারণ করে আফসোসও করেছেন। কত না মুখর থাকত এই এফডিসি। তবে বছর শেষের এ কর্মব্যস্ততা যেন আগামী বছরও বজায় থাকে সে প্রত্যাশাই করেন চিত্রকর্মীরা।