দেশের খবর: উচ্চ আদালতের আদেশে বিএনপির প্রার্থীশূন্য হওয়া আসনগুলোতে দলটির বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন বা বর্তমান তফসিল স্থগিত করে পুনঃতফসিলের কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। কমিশন বৈঠক শেষে রোববার রাতে সাংবাদিকদের একথা জানান তিনি।
এ সময় ইসি সচিব বলেন, ধানের শীষ প্রতীক নেয়ায় জামায়াতের ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলেরও কোনো সুযোগ নির্বাচন কমিশনের নেই। হাইকোর্টে যেসব প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে তাদের ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনের করার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
বিএনপির আবেদনের প্রসঙ্গে ইসি সচিব বলেন, ‘আদালতের সিদ্ধান্তে বিএনপির অনেক জায়গায় প্রার্থিতা স্থগিত বা বাতিল করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের আদেশে বাতিল হওয়া বিভিন্ন আসনে বিকল্প প্রার্থী মনোনয়ন বা নির্বাচনী এলাকায় নির্বাচন স্থগিত চেয়ে বিএনপি একটি আবেদন করেছিল। কমিশন তাদের আবেদন-নিবেদনগুলো পর্যালোচনা করেছে। কমিশন মনে করে, এমন আবেদন আমলে নেওয়ার আইনগত কোনো সুযোগ নেই। ফলে বিকল্প প্রার্থী মনোনীত বা নির্বাচন স্থগিতের কোনো সুযোগ নেই বলে কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
জানা গেছে, আদালতে আপিল করার পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ১৬টি আসনে বিএনপির প্রার্থিতা বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। এতে করে এসব আসনে দলটির প্রার্থী শূন্য হয়ে পড়ে। প্রার্থীশূন্য এসব আসনে দলটির প্রাথমিক মনোনয়ন দেওয়া প্রার্থীদের নতুন করে মনোনীত করা বিকল্পে নির্বাচন স্থগিত করে পুনঃতফসিলের দাবি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে দুই দফায় আবেদন করেছিল বিএনপি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন এই সিদ্ধান্ত দেয়। এ সময় জামায়াতে ইসলামীর ২৫ প্রার্থী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচন কমিশন তাদের প্রার্থিতা অনুমোদনসহ প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছে, সেহেতু এ পর্যায়ে এসে আইনগতভাবে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের কোনো সুযোগ নেই। এ সময় গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ি-সাদুল্যাপুর) আসনে পুনঃতফসিল ঘোষণা করে ইসি। পুনঃতফসিল অনুযায়ী গাইবান্ধা-৩ আসনের নির্বাচন ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে। আর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ২ জানুয়ারি।