বিনোদনের খবর: চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা কাজী হায়াত অসুস্থ। উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্র গিয়েছেন। শনিবার দিবাগত রাত ১০ টায় যক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে রওনা দেন তিনি। ঢাকা ছাড়ার আগে বিমানবন্দর থেকে তার সন্তান কাজী মারুফের ফেসবুক হ্যান্ডেল থেকে লাইভে আসেন।
ভিডিও বার্তায় কাজী হায়াত বলেন, জানি না চিকিৎসা কেমন হবে? তবে এ রোগের কথা আমি বা আমার আত্মীয়স্বজনের নিকট শুনিনি। সেটা হচ্ছে আমার ঘাড়ের রক্ত চলাচলের যে রগটি আছে সেটি ব্লক হয়ে গেছে। মাথায় যে রক্ত চলাচলের রাস্তা সেটিও ব্লক হয়ে গেছে। বাংলাদেশে এর চিকিৎসা হয় না। দোয়া করবেন আমি যেন ভালোভাবে ফিরে আসি। যেদিন আপনারা ভোট দেবেন, সেদিন হয়তো আমি নিউ ইয়র্কে অপারেশন টেবিলে থাকবো।
তিনি বলেন, ‘প্রিয় দেশবাসী এবং আমার ভক্তবৃন্দ। আমি জানি সারা দেশে আমার অসংখ্য ভক্ত ছড়িয়ে আছে। আমাকে যারা ভালোবাসেন, যারা আমার শুভকামনা চান, অনেকে তো ফোনও করেন। অনেক সময় ফোন করলে আমি বিরক্ত হই কিন্তু আমি জানি তাদের ভালোবাসা অনেক গভীর। আজ আমি ঢাকার বিমানবন্দরে বসে এই কথাগুলো বলছি। আমার চিকিৎসার জন্য যাচ্ছি নিউ ইয়র্ক শহরে।’ জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, ‘আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন ভালোভাবে ফিরে আসতে পারি। দেশের জন্য দোয়া করবেন। যে দেশের জন্য আমি মুক্তিযুদ্ধ করেছি, যে দেশকে আমি ভালোবাসি, যে দেশের কথা আমি সিনেমায় সবসময়ই বলেছি। যে দেশের ক্ষত চিহ্নগুলো তুলে ধরার চেষ্টা করেছি প্রতিটি সিনেমায়। তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের মাঝে বেঁচে থাকতে চাই আরো অনেকদিন। আমার স্বপ্ন আমি আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো। আবার বাংলাদেশের মাটিতে এসে (অ্যাকশন-কাট) বলব, পদ্মা সেতু দিয়ে আমার গ্রামের বাড়ি যাব।’
সদ্য প্রয়াত নির্মতা আমজাদ হোসেনের চলে যাওয়া প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমজাদ হোসেন চলে গেছেন, আমার প্রিয় এবং কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই হার্ট ও শরীরের বিভিন্ন অসুখে ভুগছেন গুণী নির্মাতা কাজী হায়াত। মাঝখানে চিকিৎসার কারণে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তার শারিরীক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় ফের রওয়ানা দিলেন যুক্তরাষ্ট্রে।