মোস্তাফিজুর রহমান: আশাশুনি উপজেলার বুধহাটায় আরসি কোম্পানির আপার টেনের ২ লিটারের বোতলের পাতীয় খেয়ে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৫ জন অসুস্থ্য হওয়ার অভিযোগ পাওয়াগেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, রবিবার সন্ধ্যায় বুধহাটা ইউনিয়নের বৈউলা গ্রামে। এ পানীয় খাওয়ায় বৈউলা গ্রামের মৃত: চন্ডি বশাকের পুত্র ইন্দ্রোজিৎ তার স্ত্রী দীপা বশাক, আত্মেয় কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্মপুর গ্রামের সুচিত্রা দাশ, রিক্তা দাশ ও বৈউলা গ্রামের আনন্দ মন্ডলের পুত্র প্রবীর মন্ডল অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। দীপা বশাক প্রতিবেদককে জানান, রবিবার সন্ধ্যায় তার বাড়িতে আত্মীয় থাকায় গাজীর হাট বাজারের রাজ্জাক সরদারের পুত্র অজেদ সরদারের মুদি দোকান থেকে ২ লিটারের একটি আপার টেন কিনে এনে কয়েক জন সামান্য পরিমানে খাওয়ার পর খুব খারাপ একটা গন্ধ অনুভব করি। আমরা যে ৫ জন এ পানীয় খেয়েছিলাম তাদের সবারই প্রচন্ড বমি হতে শুরু করে। এঘটনার পরেই স্থানীয় গ্রাম চিকিৎসকের পরামর্শে আমাদের শরীরের অবস্থার একটু উন্নতি হয়। এ ঘটনা জানাজানি হলে প্রতিবেশিরা ইন্দ্রেজিতের বাড়িতে ভিড় জমাতে শুরু করে। এসময় বোতলের গায়ে স্টিকারে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে কিনা দেখার সময় চোখে পড়ে বোতলের নিচে গোল করে কেটে পুনরায় আটা এবং তাপ দিয়ে লাগিয়ে দেয়া হয়েছে। ইন্দ্রোজিতের বাড়ির অবশিষ্ট আপার টেনে বিকট গন্ধ অনুভব হওয়ায় গাজীর হাট বাজারের অজেদ সরদারের মুদি দোকানে গিয়ে দেখা যায় ইনটেক ২ কেচ ও ৫টি মোট ১৭টি ২ লিটারের বোতলে একই ভাবে কেটে পুনরায় লাগিয়ে দেওয়া বোতল আছে। জানতে চাইলে মুদি দোকানদার অজেদ জানান, আমাকে ৩কেচ আপার টেন ২ লিটারের বোতল কোম্পানির লোকেরা দিয়েগেছে। সেখান থেকে ১টি বোতল বিক্রি করার পর বিষয়টি জানতে পেরে ওগুলো কাহকে দেয়া বন্ধ করে দিয়েছি। কোম্পানির লোককে জানানোর পর তারা আসতে চেয়েছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর আলিফ রেজা বলেন, যদি পারেন আপনারা ঐ বোতল গুলো জব্দ করেন। আমি নির্বাচনী কাজে সাতক্ষীরাতে ব্যস্ত আছি। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি)কে ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলে দিচ্ছি। দুপুরের পরে প্রতিবেদকের সাথে মুঠো ফোনে ইউএনও’র সাথে বিষয়টি নিয়ে কথা হলেও জানাগেছে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা অবাধি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এদিকে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবি আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে পানীয়’র ব্যবহার একটু বেড়ে যায়। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কেউ এদেশের মানুষের ক্ষতি সাধন করতে চায় কিনা তাই অতিদ্রুত উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।