দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট ২৪৮টি আসনে জয়ী হতে পারে বলে অনুমান করছে রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার (আরডিসি)। আর ঐক্যফ্রন্ট পাবে ৪৯টি আসন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী বা অন্যান্যরা পাবে তিনটি আসন। বুধবার দুপুর আরডিসি এক ছায়া ভোটের ফলাফল প্রকাশ করে। যা রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। ফলাফল তুলে ধরেন আরডিসির অর্থনীতিবিদ ফরেস্ট ই কুকসন। তিনি বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর একজন পরামর্শক।
ফলাফলে দেখা যায়, দেশের ভোটারদের ৬০ শতাংশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টকে দিয়েছে ২২ শতাংশ ভোটার। এই ভোটে ১০ শতাংশ মানুষ কাকে ভোট দেবেন, সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত জানাতে পারেননি। আরডিসি বলছে, ৯ থেকে ১৬ ডিসেম্বর দেশের ৫১টি সংসদীয় আসনে সোয়া দুই হাজার ভোটারের ওপর জরিপ চালিয়ে তারা এ পূর্বাভাস পেয়েছে। ভোট জরিপে অংশ নেয় ২ হাজার ২৪৯ জন ভোটার। ফলাফলে আওয়ামী লীগকে ভালো বলেছে, ৬৪ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ। আর খারাপ বলেছে ৩ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ। অপরদিকে বিএনপিকে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ ভালো বলেছে। আর খারাপ বলেছে ১৮ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ।
জরিপ সম্পর্কে ফরেস্ট ই কুকসন বলেন, রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ হয়ে নির্বাচনের সম্ভাব্য ফলাফল জানতে এই জরিপ করা হয়। দেশের প্রত্যেক অঞ্চলের ভোটারদের থেকে মতামত নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কত জেলা বা উপজেলায় এই জরিপ করা হয়েছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেননি তিনি।
০১১ সালের আদমশুমারির তথ্যগুলোকে নমুনা হিসেবে নিয়ে দৈবচয়নের ভিত্তিতে দেশের জেলা-উপজেলাগুলো থেকে ভোটারদের এই জরিপ করা হয়। ছায়া জরিপে ভোট দিতে নারীদের জন্য লাল ব্যালট পেপার ছিল। পুরুষদের জন্য ছিল নীল ব্যালট পেপার।