দেশের খবর: জামায়াতে ইসলামীর ২৫ নেতার প্রার্থিতা বৈধ করে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে একটি রিট করা হয়েছে। তরিকত ফেডারেশনের মহাসচিব সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, মো. আলী হোসেন, মো. এমদাদুল হক ও হুমায়ুন কবিরের পক্ষে গতকাল হাই কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি দায়ের করেন ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর। তিনি আবেদনটি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাই কোর্ট বেঞ্চে উপস্থাপন করেন। এ বিষয়ে আজ শুনানির কথা রয়েছে।
ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর সাংবাদিকদের বলেন, জামায়াতের নিবন্ধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করা হলে হাই কোর্ট জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন নেই, সেহেতু ওই দলের কোনো নেতা নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছেন না। অন্য দলের প্রতীকেও তাদেও ভোটে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই। এরপরও জামায়াতের নেতাদের ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দিয়ে ইসি হাই কোর্টের রায় ও গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের বিভিন্ন বিধির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এর আগে রেজাউল হক চাঁদপুরীসহ চারজন নিবন্ধন হারানো বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ২২ নেতার ধানের শীষ প্রতীকে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনজনের নির্বাচনে সুযোগ দেওয়ার বৈধতার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আবেদন জানানো হয়। কিন্তু সে আবেদনের ওপর কোনো সাড়া না পেয়ে জামায়াত নেতাদের প্রার্থিতার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে রিট করা হয়। রিটে নির্বাচন কমিশন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমির, সেক্রেটারি জেনারেল ও মনোনীত ২৫ প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে জামায়াতের মোট ২৫ নেতার প্রার্থিতা বাতিলে নির্বাচন কমিশনে করা রিটকারীদের আবেদন তিন দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট। এরপর নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (আইন) মো. সেলিম মিয়া ২৪ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে আবেদনকারীদের জানান, ওই ২৫ জনের প্রার্থিতা বাতিলের আইনগত কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন বিষয়টি পর্যালোচনা করে আবেদনটি নামঞ্জুর করেছে। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবারও রিট করা হয়।