দেশের খবর: একাদশ সংসদ নির্বাচনে সশস্ত্র বাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে নয়, ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি)’র ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদত হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ব্যর্থ হলে তখনই কেবল সেনাবাহিনী হস্তক্ষেপ করবে।’ বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের কন্ট্রোল রুমে এক ব্রিফিং এ তিনি এসব কথা বলেন। এসময় এনআইডি ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। পরে মেজর রাজু আহমদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন। ধানের শীষ প্রতীকের জামায়াতের প্রার্থীদের বিষয়ে শাহাদত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘আদালতের আদেশ আমাদের মেনে চলতে হবে। শেষ মুহূর্তে যে আদেশ আসবে সে অনুযায়ী কাজ করবো। সেভাবে আমাদের প্রস্তুতিও রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একদিনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করাই বড় চ্যালেঞ্জ। নির্বাচনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না। তবে ভোটের দিন রাজনৈতিক চাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে।’ তিনি জানান, নির্বাচনের জন্য ইসিতে স্থাপিত কন্ট্রোল রুম থেকে ৩০০টি আসনের সরাসরি তদারকি করা হবে। যেকোনও ধরনের পরিস্থিতি বা ঘটনা কোনও কেন্দ্রে ঘটলে এখান থেকে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে বলেও জানান এই নির্বাচন কমিশনার ।
ইভিএম বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৬টি আসনে ইভিএম মেশিন ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। এখন চলছে মক ভোটিং। সার্বিক দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভাল। পুরো নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।’
প্রার্থী-কর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে শাহাদত হোসেন বলেন, ‘অনেক অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেগুলোর পাওয়া গেছে সেগুলোর সমাধান ওই আসন থেকেই করা হবে। জেলা পর্যায়ে এসব ব্যাপারে ১২২টি ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করা আছে। তারাই এসব সমস্যার সমাধান করবেন।’