অনলাইন ডেস্ক: অর্গানিক পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে উৎপাদিত খাবারকে সবসময় স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়। তবে এই পদ্ধতি জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। নতুন এক গবেষণায় এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, অর্গানিক পদ্ধতিতে উৎপাদিত খাবার জলবায়ুর ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। কেননা, এ জন্য অনেক বেশি জমি প্রয়োজন হয়।
গবেষণার অংশ হিসেবে গবেষকরা জলবায়ুর ওপর প্রভাব পরিমাপ করতে অর্গানিক পদ্ধতির পাশাপাশি প্রচলিত পদ্ধতি প্রয়োগ করেন। তাঁদের লক্ষ্য অর্গানিক ও সাধারণ পদ্ধতিতে খাদ্য উৎপাদনের ফলে জলবায়ুর প্রভাব নিয়ে তুলনা করা।
গবেষকদলের প্রধান বলেন, ‘আমাদের গবেষণায় দেখা গেছে, সুইডেনে অর্গানিক পদ্ধতিতে মটরশুটি উৎপাদনের ঘটনা সাধারণ পদ্ধতির চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি প্রভাব পড়েছে জলবায়ুর ওপর। এর কারণ হলো, প্রতি হেক্টর জমিতে অর্গানিক উৎপাদন অনেক কম। কারণ সেখানে সার ব্যবহার করা হয়নি। ফলে প্রচলিত পদ্ধতি অনুসারে উৎপাদিত পণ্যের সমপরিমাণের জন্য অর্গানিক উৎপাদনের জন্য অনেক বেশি জমি প্রয়োজন হচ্ছে।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করা হয় এভাবে, অর্গানিক উৎপাদনের কারণে যে বাড়তি জমির প্রয়োজন হয় তাতে বনাঞ্চল উজাড় হয়। বনাঞ্চল উজাড় হলে কার্বন ডাইঅক্সাইডের পরিমাণ বেড়ে যায়।
এমনকি, অর্গানিক মাংস ও ডেয়ারি পণ্যের সঙ্গে জলবায়ুর বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে যা ক্ষতিকর। কারণ হিসেবে বলা হয়, ‘অর্গানিক মাংস ও ডেয়ারি পণ্যের জন্য অর্গানিক পশুখাদ্য প্রয়োজন। এর জন্যও প্রয়োজন হয় বাড়তি জমি। অর্থাৎ অর্গানিক গম কিংবা মটরশুটি উৎপাদনের একই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় অর্গানিক মাংস কিংবা ডেয়ারি পণ্য উৎপাদনে। ফলে, এ ক্ষেত্রেও একইভাবে জলবায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে।’ গবেষণার এই ফল প্রকাশ করা হয়েছে ব্রিটিশ জার্নাল ‘সাইকিয়াট্রি’-তে। সূত্র : এএনআই