বিদেশের খবর: পাঁচ গুণ্ডাকে একা দমন করে হঠাৎ করেই নিউইয়র্ক পুলিশের ‘হিরো’ উপাধি পেলেন বাংলাদেশি আমেরিকান কর্মকর্তা সৈয়দ আলী। যুক্তরাষ্ট্রের সব বড় মিডিয়ায় তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। নিউইয়র্ক পুলিশ বিভাগও (এনওয়াইপিডি) তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। সহকর্মীরাও দারুণ খুশী সৈয়দ আলীর এই সাফল্যে।
ঘটনাটি গত ২৩ ডিসেম্বর রবিবারের। নিউইয়র্কের ব্যস্ততম ম্যানহাটানের সাবওয়ে (পাতালরেল) স্টেশনে এক নারীকে উত্যক্ত করছিল পাঁচ গৃহহীন (হোমলেস) গুণ্ডা। এ সময় সেখানে কর্তব্যরত অফিসার সৈয়দ আলী ওই নারীকে রক্ষায় এগিয়ে যান। প্রথমে পাঁচ গুণ্ডাকে তাদের অপকর্ম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এবং সাবওয়ে থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু গুণ্ডারা সৈয়দ আলীর কথার কর্ণপাত না করে বরং তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তখন তাদের একাই সামলে নেন তিনি। এক এক লাথিতে ছিটকে পড়ে ওই গুণ্ডারা। উপস্থিত যাত্রীরা এ দৃশ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সবাই সৈয়দ আলীর এই নায়কোচিত ভূমিকার প্রশংসা করেন। নিজের এই হঠাৎ নায়ক হয়ে ওঠার খবর শুরুতে জানতেই পারেননি মাত্র তিন বছর বয়সে মা-বাবার সঙ্গে আমেরিকায় আসা সৈয়দ আলী। এক সহকর্মী বিষয়টি তার নজরে আনলে ভীষণ বিস্মিত হন তিনি।
সৈয়দ আলীকে নিয়ে এতটাই আলোড়ন হয় যে, গত ২৬ ডিসেম্বর তাকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন করে নিউইয়র্ক টাইমস। এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিও দিয়ে নিউজ কাভারেজ দেয় বিশ্বখ্যাত সব টেলিভিশন চ্যানেলগুলো।
বাংলাদেশি অফিসার সৈয়দ আলীর সাহসিকতার প্রশংসা করে টুইট করেছেন নিউইয়র্ক সিটির মেয়র বিল ডি ব্লাজিও। ব্রুকলিনের কাউন্সিলম্যান চেইম এম ডাচ সাহসিকতার জন্য সৈয়দ আলীকে দিয়েছেন বিশেষ সনদ। এদিকে নিউইয়র্ক পুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি পুলিশ অফিসারদের সংগঠন বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) সৈয়দ আলীর এই সাহসিকতার জন্য অভিনন্দন জানিয়েছে। বাপার মিডিয়া লিয়াজোঁ এনওয়াইপিডির ডিটেকটিভ জামিল সারোয়ার জনি জানিয়েছেন, ‘সৈয়দ আলীর জন্য আমরা সত্যিই গর্বিত। বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক পুলিশে সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে।’