সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার মামুনের নিখোঁজ হবার সাথে ইফাদ কোম্পানির কর্মকতাদের কোন সম্পর্ক নেই

By daily satkhira

December 28, 2018

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বল্লী আখড়াখোলার আবদুল্লাহ আল মামুনের সাথে আমাদের ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছেদ হয়েছে ছয় মাস আগে। সাবেক ডিলার মামুন ইফাদ মাল্টি প্রডাক্টস লিমিটেডের বর্তমান ডিলার আমিনুর রহমান বকুলের কাছে তার প্রাপ্য এক লাখ ৫৬ হাজার ৫২৯ টাকাও সময় মতো ফেরত পেয়েছেন । এ সংক্রান্ত কাগজপত্রও আমাদের কাছে রয়েছে । শুক্রবার বিকালে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা জানান ইফাদ এর এরিয়া ম্যানেজার দেবব্রত বিশ্বাস । তিনি বলেন সম্পর্ক ছেদ হওয়ার পর থেকে আমরা মামুনের কোনো খবরও রাখিনা। অথচ মামুনের নিখোঁজ হওয়ার দায় আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা উদ্দেশ্যমূলক। কারন তার সম্পর্কে আমাদের কোনো ধরনের আগ্রহ অনাগ্রহ নেই।এমনকি কোনো লেনদেনও নেই তার সাথে।

সংবাদ সম্মেলনে দেবব্রত বিশ্বাস আরও বলেন আবদুল্লাহ আল মামুন আমাদের কোম্পানির ডিলার ছিলেন। কিছুদিন ব্যবসা পরিচালনার পর তিনি স্বেচ্ছায় ডিলারশীপ ত্যাগ করেন তার নিজস্ব কারণে। এ ব্যাপারে তিনি আমাদের কাছে লিখিত আবেদনও দেন। তিনি বলেন ডিলারশীপ পরিবর্তন কালে তার দোকানে থাকা এক লাখ ৫৬ হাজার ৫২৯ টাকার মালামাল ্ নতুন ডিলার আমিনুর রহমান বকুল তার গোডাউনে নিয়ে আসেন। এসব মালামালের মূল্য দুটি চেকের মাধ্যমে পরিশোধও করেন বকুল। মালের বিনিময়ে বকুলের দেওয়া চেকও মামুন ফেরত দেন। এরপর থেকে ডিলার আমিনুর রহমান বকুল এবং এরিয়া ম্যানেজার দেবব্রত ও তার বড়ভাই সুব্রত কুমার বিশ্বাস কারও সাথে মামুনের যোগাযোগ নেই। এমনকি সুব্রত বিশ্বাস মামুনকে চেনেনও না। এসব বিষয় তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয় মামুনের বাবা মোসলেম আলি সংবাদকর্মীদের কাছে যে তথ্য তুলে ধরেছেন তা সঠিক নয়। মামুন অপহরন হয়েছেন নাকি তিনি আত্মগোপন করেছেন এর কোনোকিছুই জানা নেই দেবব্রত , সুব্রত ও আমিনুর রহমান বকুলের। তারপরও তার বাবা মোসলেম আলি কেনো আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। সাতক্ষীরার বিভিন্ন দৈনিকে ২৮ ডিসেম্বর শনিবার প্রকাশিত এ সংক্রান্ত খবরের প্রতিবাদ করেন তারা। তারা বলেন তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ন মিথ্যা । তাকে মারপিট করার হুমকি দেওয়ার অভিযোগও বানোয়াট। শুধুমাত্র হয়রানি করে কিছু সুবিধা আদায়ের লক্ষ্যে এই অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানান দেবব্রত ,সুব্রত ও আমিনুর রহমান বকুল।