জাতীয়

ভোটযুদ্ধে প্রস্তুত বাংলাদেশ

By daily satkhira

December 29, 2018

দেশের খবর: আজ রাত শেষ হলেই কাল রবিবার সকাল ৮টা থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হতে যাচ্ছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ চলবে। একটি আসনের একজন প্রার্থী মারা যাওয়ায় ৩০০টি সংসদীয় আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইতিহাসে এবারই প্রথম ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হতে যাচ্ছে। ছয়টি আসনের এই মেশিনে ভোট নেওয়া হবে।

এদিকে প্রচারণা শেষ হওয়ায় শুক্রবার অনেকটা শান্ত ছিল ভোটের মাঠ। শঙ্কা-উৎকণ্ঠা ও উৎসবের মধ্যে টানা ১৮ দিনের নির্বাচনী প্রচারণা শেষে জয়-পরাজয়ের হিসাব নিয়ে ব্যস্ত প্রার্থীরা। সবার চোখ এখন কালকের ভোটের দিকে। অনেকেরই ধারণা, এ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাসীন দল আবারও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন।

এদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিরোধী দল ও জোট তাদের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর ব্যাপক হামলার অভিযোগ তুললেও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইতিমধ্যে ভোটের সার্বিক প্রস্তুতিও সম্পন্ন করেছে কমিশন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠায় রয়েছে বিএনপিসহ ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট।

ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকেও গতকাল ইসিতে এই মর্মে অভিযোগ করা হয়েছে, তাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে। অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারণার সময় বিএনপির বেশ কয়েকজন প্রার্থী রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। এ দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায় নির্বাচনের বাইরে রয়েছেন। এ ছাড়া দলটির ১৬ জন প্রার্থী কারাগারে। দলের মহাসিচব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি অভিযোগ করেন, এই নির্বাচনে পুলিশ, বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনও তাঁদের প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ রকম রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে ৩০ ডিসেম্বর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। আমরা প্রস্তুত, ভোটররা সবাই উৎসবমুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে ভোটে অংশগ্রহণ করবে, কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থাকবে না।’ সিইসি বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৮টায় প্রচার শেষ হয়েছে। এখন সবাই ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। এখন যারা প্রার্থী ও প্রার্থীর সমর্থক, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যার যার অবস্থান থেকে নির্বাচনে অংশ নেবে। কাউকে কোনো রকমে কেউ যেন বাধা দিতে না পারে। যার যার ভোট যেন সে দিতে পারে।’

সবাইকে নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করে সিইসি বলেন, ‘যাতে করে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি যেতে পারে সকলে সেই নিরাপদ অবস্থা সৃষ্টি করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব। দেশবাসীর যারা ভোটার, তারা যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সে ব্যবস্থা অবশ্যই করব।’ নির্বাচন ভবনে স্থাপিত ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের ফলাফল সংগ্রহ ও পরিবেশন’ কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি।

এ নির্বাচনের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো, ১৯৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এই প্রথম দলীয় সরকারের অধীনে দেশের সব রাজনৈতিক দল অংশ নিতে যাচ্ছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পরে এবারই প্রথম হচ্ছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। নিবন্ধিত মোট ৩৯টি রাজনৈতিক দলের সবগুলোই এ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। সবার অপেক্ষা অংশগ্রহণমূলক এ নির্বাচন কতটা অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে গতকাল শুক্রবার জানানো তথ্য অনুযায়ী, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট এক হাজার ৮৬১ জন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থীর সংখ্যা এক হাজার ৭৩৩ জন। স্বতন্ত্র প্রার্থী ১২৮ জন।

প্রার্থীদের মধ্যে নৌকা প্রতীকের ২৭২ জন এবং ধানের শীষের রয়েছেন ২৮২ জন। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট এবং বিএনপিসহ জাতীয় ঐক্যফন্টে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২৬০ আসনে। বিএনপির প্রার্থীরা (জামায়াত নেতা সহ) প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ২৫৭ আসনে। সবচেয়ে বেশি ২৯৮ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীরা। অন্য দলগুলোর মধ্যে জাতীয় পার্টি ১৭৫, এলডিপি আট আসনে (চার আসনে ধানের শীষ প্রতীকে), জাতীয় পার্টি-জেপি ১১, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এমএল) দুই, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আট (তিন আসনে ধানের শীষে), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি ( সিপিবি) ৭৪, গণতন্ত্রী পার্টি ছয়, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ৯, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আট (পাঁচ আসনে নৌকা প্রতীকে), বিকল্পধারা

বাংলাদেশ ২৬ (তিন আসনে নৌকা প্রতীকে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ ১১ (তিন আসনে নৌকা প্রতীকে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি ১৯, (চার আসনে ধানের শীষে), জাকের পার্টি ৯০, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ ৪৪, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি তিন (এক আসনে ধানের শীষ), তরিকত ফেডারেশন ১৭ (এক আসনে নৌকা প্রতীকে), বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন ২৪, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ ৪৮, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) ৭৯, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ আট (তিন আসনে ধানের শীষ), গণফোরাম ২৮ (সাত আসনে ধানের শীষ), গণফ্রন্ট ১৩, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল ১৪, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি- বাংলাদেশ ন্যাপ তিন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি ১১, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ ১৮, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি দুই (এক আসনে ধানের শীষে), ইসলামী ঐক্যজোট ২৫, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ পাঁচ, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট ২৫, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি চার, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২৮, খেলাফত মজলিস ১২ (দুই আসনে ধানের শীষ), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল এক, বাংলাদেশ সাস্কৃতিক মুক্তিজোট দুই এবং বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ ৫৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছে। একজন প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে গাইবান্ধা-৩ আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি।

এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাত লাখ সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন। নির্বাচন পরিচালনায় মোট ছয় লাখ ৬২ হাজার ৭১৩ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ৬৬ জন। এর মধ্যে দুজন বিভাগীয় কমিশনার এবং ৬৪ জন জেলা প্রশাসক। সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন ৫৮২ জন। এর মধ্যে এডিসি ১০ জন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৪৯২ জন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ২৩ জন, সিটি করপোরেশনের জোনাল এক্সিকিউটিভ অফিসার ৯ জন, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আটজন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ৩০ জন, ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার তিনজন, সার্কেল অফিসার একজন, আইন কর্মকর্তা একজন এবং ডিডিএলজি চারজন।

এ ছাড়া নির্বাচনে আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য ৬৫২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের জন্য ৬৭৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, নির্বাচনী অপরাধের সংক্ষিপ্ত বিচারকাজ পরিচালনার জন্য ৬৪০ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে ২৪৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, ৪০ হাজার ১৮৩ জন প্রিসাইডিং অফিসার, দুই লাখ সাত হাজার ৩১২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং চার লাখ ১৪ হাজার ৬২৪ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন।

এক লাখ ২১ হাজার পুলিশ সদস্য ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছেন ৩৮৯ উপজেলায় ৪১৪ প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩০ জন)। পার্বত্য তিন জেলায় আগে থেকেই সেনাবাহিনীর অবস্থান রয়েছে। আনসার সদস্য মোতায়েন রয়েছেন চার লাখ ৬৬ হাজার। এবারই প্রথম ৪১ হাজার গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ১৮টি উপজেলায় নৌবাহিনীর ৪৮ প্লাটুন সদস্য মোতায়েন রয়েছেন। কোস্ট গার্ড সদস্য রয়েছেন ১২ উপজেলায় ৪২ প্লাটুন। বিজিবি রয়েছে ৯৮৩ প্লাটুন। র্যাব সদস্য রয়েছে প্রায় ৬০০ প্লাটুন।

এ নির্বাচনে ভোটার মোট ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার পাঁচ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২ এবং পুরুষ ভোটার পাঁচ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৩৫ জন। রংপুর এবং রাজশাহী বিভাগে নারী ভোটার পুরুষের তুলনায় বেশি। রংপুর বিভাগের ৩৩ আসনে মোট ভোটার এক কোটি ১৫ লাখ ৯৫ হাজার ১৮৫ জন। এর মধ্যে নারী ৫৮ লাখ ২৬ হাজার ৫৮৫ এবং পুরুষ ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার ৬০০ জন। রাজশাহী বিভাগের ৩৯টি আসনের মোট ভোটার এক কোটি ৩৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৫৪ জন। এর মধ্যে নারী ৬৮ লাখ ৮২ হাজার ৭২৫ জন।

ইভিএমে ভোট হতে যাওয়া ছয়টি আসন হচ্ছে রংপুর-৩, খুলনা-২, সাতক্ষীরা-২, ঢাকা-৬ ও ১৩ এবং চট্টগ্রাম-৯। এসব আসনে মোট ভোটার ২১ লাখ ২৪ হাজার ৫৫৪ জন। আসনগুলোর ৮৪৫ ভোটকেন্দ্রে পাঁচ হাজার ৩৮টি ভোটকক্ষে এই পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ হবে।

ভোটগ্রহণ কার্যক্রমকে শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করে এনেছে। প্রতি আসনের জন্য ব্যালট পেপার পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ভোটের সামগ্রী সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে পুলিশ পাহারায় কেন্দ্রে কেন্দ্রে নিয়ে যাবেন কেন্দ্রের মনোনীত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ শুক্রবার বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, ভোট নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। আশা করছি, নির্বিঘ্নে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবে। তিনি বলেন, সরকারিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ১৫ লাখ লোক এ ভোট পর্যবেক্ষণ করছে। ফলে নির্বাচনে কোনো শঙ্কা নেই। ভোটগ্রহণ উপলক্ষে রবিবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। ব্যাংকও বন্ধ রাখা হয়েছে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ হয়েছে শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে, এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে ৩০ ডিসেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। নির্বাচনে কালো টাকার ব্যবহার বন্ধে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি। তবে জনগণের ভোগান্তি কমাতে এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত টাকা রাখার নির্দেশনা রয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। যানবাহন চলাচলের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কমিশনের অনুমোদিত পরিচয়পত্রধারীর বাইরে কোনো যান চলাচল করবে না।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনে মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরের সাধারণ কেন্দ্রে ১৪ থেকে ১৫ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৬ জন সদস্য মোতায়েন থাকবেন। মেট্রোপলিটন এলাকার কেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ওই সংখ্যা থেকে একজন করে বেশি রাখা হবে। পার্বত্য এলাকা, দ্বীপাঞ্চল, হাওর এলাকার কেন্দ্রগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসংখ্যা আরো বেশি থাকবে।