জাতীয়

ভোটসংক্রান্ত যেসব তথ্য জেনে রাখা ভালো

By daily satkhira

December 29, 2018

অনলাইন ডেস্ক:

ভোট কখন শুরু, কখন শেষ সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোয় একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হবে আগামীকাল সকাল ৮টায়; একটানা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

ভোটকেন্দ্রে কী নিতে পারবেন, কী পারবেন না

ভোটাররা শুধু ভোটের স্লিপ নিতে পারবেন, যেখানে ভোটারের নাম, কেন্দ্র ও একটি সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড নিয়েও কেন্দ্রে যেতে পারেন, তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। ভোটকেন্দ্রে মোবাইল ফোন, দাহ্য পদার্থ, আগ্নেয়াস্ত্র বা ধারালো কিছু সঙ্গে নেওয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। তবে মোবাইল ফোন যদি সঙ্গে নিতেই হয়, তাহলে ভোট দেওয়ার সময় সেটি সম্পূর্ণ বন্ধ করে রাখতে হবে। কেন্দ্রে ছবি তোলা, সেলফি তোলা বা চেক ইন না দিতে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার কোনো ড্রেসকোড নেই। ভোটার তাঁর পছন্দমতো পোশাক পরে ভোটকেন্দ্রে যেতে পারবেন। তবে ভোটার যদি নেকাপ পরে থাকেন, তাহলে পরিচয় শনাক্তের জন্য পোলিং এজেন্টকে ভোটারের একবারের জন্য মুখ দেখাতে হতে পারে।ভোটকেন্দ্রে শিশুদের না নেওয়ার অনুরোধ করেছে ইসি। তবে অন্তঃসত্ত্বা নারী, অন্ধ, প্রতিবন্ধী বা প্রবীণ ভোটার তাঁদের সঙ্গে একজন সহায়ক ব্যক্তি রাখতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে ভোটার গিয়ে যদি দেখেন আপনার ভোট কেউ আগেই দিয়ে দিয়েছেন, তাহলে হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই। কেননা ইসি বলছে, আপনি যদি আপনার ভোটার স্লিপ ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখিয়ে অথবা আঙুলের ছাপ দিয়ে পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনার ভোটগ্রহণ করা হবে। প্রিসাইডিং অফিসার তাঁর সই করা ব্যালটে আপনার সিল নিয়ে সেটা নিজের কাছেই রেখে দেবেন। একে বলা হয় টেন্ডার ভোট। যেটা বাক্সে ফেলা না হলেও গণনা করা হয়।

ভোট দেবেন যেভাবে প্রথমে আপনি আপনার ভোটের স্লিপ প্রিসাইডিং অফিসারকে দেখাবেন। তিনি আপনার সিরিয়াল নম্বর দেখে ওই কেন্দ্রের ভোটার তালিকা থেকে আপনাকে শনাক্ত করবেন। ওখানে প্রার্থীর এজেন্টরা বলবেন যে এই ভোটারের ব্যাপারে তাঁদের আপত্তি নেই। তখন সহকারী কর্মকর্তা আপনার জন্য একটা ব্যালট পেপার ইস্যু করবেন। পোলিং কর্মকর্তা সেই ব্যালট পেপারে সই বা আঙুলের ছাপ নেবেন; এরপর তিনি আপনার আঙুলে অমোচনীয় কালির চিহ্ন এঁকে দেবেন এবং একটি সিলমোহর দেবেন। সেই সিল আর ব্যালট পেপার নিয়ে গোপন কক্ষে গিয়ে পছন্দমতো প্রতীকের ওপরে সিল বসিয়ে নেবেন এবং এমনভাবে কাগজটা ভাঁজ করবেন যেন সিলের রং অন্যকোথাও না লাগে। কেননা ব্যালটে কালি ছড়িয়ে গেলে বা কিছু লিখলে ভোটটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর ভাঁজ করা ব্যালট পেপারটি কেন্দ্রের কর্মকর্তাদের সামনে থাকা ব্যালট বাক্সে ফেলতে হবে। তারপর সিলমোহরটি জমা দিয়ে আপনি ফিরে যাবেন।

ইভিএমের কেন্দ্রগুলোতে যেভাবে ভোট দেবেন ইভিএমের মাধ্যমে ভোট দেওয়া আসলে খুব সহজ। প্রথমে পোলিং এজেন্টরা আপনার আঙুলের ছাপ বা ভোটের স্লিপের মাধ্যমে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করে পারমিশন স্লিপ দেবেন। তারপর গোপন কক্ষে থাকা ইভিএমে আপনি প্রতীকের পাশের বাটন চেপে প্রতীক পছন্দ করে এবং পরে নিচে সবুজ রঙের কনফার্ম বাটনটি চেপে ভোট দেবেন। কোনো কারণে ভোটার ভুল প্রতীকের বাটনে চাপ দিলে এবং তা সংশোধন করতে চাইলে তাঁর পছন্দের প্রতীকের বাটনে ফের চাপ দিয়ে ভোট প্রদান করতে পারবেন। এভাবে দুইবার তিনি সংশোধন করতে পারবেন। তৃতীয়বার যে প্রতীকের বাটনে চাপ দেবেন সেই প্রতীকেই ভোট প্রদান সম্পন্ন হবে।

ইভিএম কেন্দ্র ঢাকা-৬, ঢাকা-১৩, রংপুর-৩, খুলনা-২, সাতক্ষীরা-২ ও চট্টগ্রাম-৯ আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হবে।