জাতীয়

শিবপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১

By daily satkhira

December 30, 2018

দেশের খবর: নরসিংদী ৩ (শিবপুর) আসনে মো. মিলন মিয়া (৪৫) নামের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের এক নির্বাচনী এজেন্টকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ১২টার দিকে নরসিংদী ৩ (শিবপুর) আসনের কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অদূরে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত মিলন মিয়া উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের বংপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে।

পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করার সময় দুপুর ১১টার দিকে নৌকার প্রার্থী জহিরুল হক ভূঞা মোহন কুন্দারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে যান। তিনি তাঁর কর্মীদেরও ব্যালটে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বলেন। খবর পেয়ে ওই সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা ওই কেন্দ্রে যান। তখন দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকেই সরিয়ে দেয়। এর কিছুক্ষণ পরই খবর পেয়ে পুলিশ কেন্দ্রের অদূরে মো. মিলন মিয়া নামের একজনের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে। নিহত মিলন মিয়া আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জহিরুল হক ভূঞা মোহনের নৌকা প্রতীকের এজেন্টের দায়িত্ব পালন করছিলেন।

এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী জহিরুল হক ভূঞা মোহন বলেন, শিবপুরে বিএনপি প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার পর বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মোল্লার সঙ্গে যুক্ত হয়। আজকে দুপুরে সিরাজুল ইসলাম মোল্লা কুন্দারপাড়া কেন্দ্রে জোর করে সিংহ প্রতীকে ভোট দেওয়ার সময় আমার এজেন্ট বাধা প্রদান করে। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্ট মিলন মিয়াকে টেনেহিঁছড়ে বাইরে নিয়ে গিয়ে জবাই করে হত্যা করেছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে সিংহ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. সিরাজুল ইসলাম মোল্লা বলেন, পূর্বশত্রুতার জের ধরে মিলনকে হত্যা করেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজনই। দুপুরের দিকে যখন আমার বিজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাচ্ছিল তখন পুরো আসনে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতেই পূর্বপরিকল্পনার অংশ হিসেবে নৌকার প্রার্থী নিজেদের এজেন্টকে হত্যা করিয়ে এর দায় আমার ওপর চাপাচ্ছে। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিহতের লাশ ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।