শ্যামনগর ব্যুরো: শ্যামনগরের আটুলিয়া মৌজায় সরকারের খাস জমিতে মাটি ভরাট করে অবৈধ স্থাপনা নির্র্মানে মৎস্য ঘেরে ক্ষতির প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদন দুটি দায়ের করেন বড়কুপট(নওয়াবেঁকী) গ্রামের মৃত অনন্ত জোয়াদ্দারের পুত্র দুলাল জোয়াদ্দার ও শিবপদ জোয়াদ্দারের পুত্র সমরেশ জোয়াদ্দার সহ এলাকাবাসী। অভিযোগ সূত্রে প্রকাশ, আটুলিয়া মৌজার ১ নং এস এ খাস খতিয়ানের ৫২৩৭ দাগে ২৯ শতক জমি বড়কুপট গ্রামের অশ্বিন রপ্তানের পুত্র মনোরঞ্জন রপ্তান ও স্ত্রী অনিমা রানী রপ্তান ব্-েআইনি ভাবে জবর দখল করে নিজ বাড়িতে বসত ঘর থাকা সত্তেও খাস জমিতে ঘর বাড়ি নির্মাণ, মাটি কর্তণ ও মাটি ভরাট করছে। ভূমিহীন না হওয়ার সত্তেও মনোরঞ্জন রপ্তান তার স্ত্রী অনিমা রানী রপ্তান কৌশলে ঐ জমি বন্দোবস্ত নিয়ে সমরেশ জোয়াদ্দারের কাছে সাব-লিজ দিয়েছিল। সে সুবাদে সমরেশ মৎস্য ঘের করে। মনোরঞ্জন রপ্তান মৎস্য ঘেরের মধ্য দিয়ে রাস্তা সৃষ্টি করে অন্যের মৎস্য ঘের দ্বি-খন্ডিত করে পানি প্রবাহের বাধা সৃষ্টি করছে। তাছাড়া খাস জমিতে বে-আইনিভাবে শ্রেণি পরিবর্তন করছে। শ্রেণি পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ঘর বাড়ি নির্মাণ করছে। ঘের মধ্যস্থ খাস খালটি সরকারের বে দখলে যাচ্ছে। যা সরকারের নিয়মের পরিপন্থি। অবৈধ স্থাপনা নির্মানের ছবি উঠাতে সংবাদ কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছালে মনোরঞ্জন এর পুত্র বিল্পব ছবি উঠাতে বাঁধা দেয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু সায়েদ মোঃ মনজুর আলম এ বিষয়ে সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দিয়েছেন। সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ সাদীদ আটুলিয়ার নায়েব কে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে সরেজমিনে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আটুলিয়ার নায়েব মহসীন আলী জানান, সরেজমিনে গিয়ে অবৈধ কর্মকান্ডের সত্যতা পেয়েছি,সে মতে প্রতিবেদন পাঠাবো। মনোরঞ্জন রপ্তান জানান,বন্দোবস্তকৃত জায়গায় ঘর বাধিতেছি। ভুক্তভোগীরা জানান, আটুলিয়ার নায়েব মহসীন আলী আর্থিক ফায়দায় মনোরঞ্জন রপ্তানের পক্ষে রায় দিতে তৎপর রয়েছে, কেননা সঠিক প্রতিবেদন প্রেরন করতে গড়ি মশি করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী মহল।