বিদেশের খবর: খামখেয়ালি কর্মকাণ্ড ও অযাচিত কথাবার্তা বলে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়েন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। দেশে এমনকি দেশের বাইরেও নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে বহুবার সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন তিনি। এইতো কয়েকমাস আগে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক অনুষ্ঠানে প্রবাসী এক ফিলিপাইনের নারী শ্রমিককে প্রকাশ্যে জড়িয়ে ধরে চুমু খান তিনি। তার সেই কাণ্ডে বিশ্বজুড়ে নারী সংগঠনগুলো ক্ষোভে ফেটে পড়ে। কিন্তু শুধরাননি দুতার্তে। এবার আবারও অযাচিত কথা বলায় বিশ্বজুড়ে তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠেছে। সম্প্রতি এক প্রকাশ্য বক্তৃতায় ঘুমন্ত কাজের মেয়ের ওপর কিভাবে যৌন নির্যাতন চালিয়েছেন তার স্মৃতিচারণ করেন দুতার্তে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর প্রকাশ করেছে। খবরে বলা হয় দুতার্তে জানান, কিশেোর বয়সে বাড়ির কাজের মেয়ের অন্তর্বাসে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সে সময় মেয়েটি ঘুমন্ত অবস্থায় ছিলো। শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) এক সমাবেশে দুতার্তে বলেন, ‘কাজের মেয়ে যখন ঘুমাচ্ছিলো আমি রুমে প্রবেশ করলাম। তার গায়ের ওপরে থাকা কম্বল সরিয়ে ফেললাম। অন্তর্বাসের ভেতরে যেটা থাকে সেটা স্পর্শ করার চেষ্টা করছিলাম। এক পর্যায়ে ভেতরে হাত ঢুকিয়ে স্পর্শ করছিলাম। তখন সে ঘুম থেকে উঠে যায় এবং রুম থেকে বেরিয়ে যায়।’
প্রেসিডেন্ট দুর্তার্তে জানান, পরে কাজের মেয়ের রুমে পুনরায় প্রবেশ করেছিলেন তিনি। এবং পুনরায় মেয়েটিকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করেছিলেন। পরে এ ঘটনা গির্জার একজন যাজককে জানিয়েছিলেন দুতার্তে। ওই যাজক দুতার্তেকে বলেন, ‘তুমি দোজখে যাবে।’
দুতার্তে এমন বক্তব্যে ঝড় উঠেছে বিশ্বজুড়ে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কোন কিছু বানিয়ে বলেননি, কোন কিছু বাড়িয়েও বলেননি। যা বলেছেন সত্য বলেছেন। ফিলিপাইনে নারীদের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা ‘গ্যাব্রিয়েলা’র এক বিবৃতে বলা হয়, ‘তার অবস্থানের সঙ্গে এ ধরনের বক্তব্য মানায় না। তার পদত্যাগ করা উচিত।’
বিবিসির খবরে বলা হয়, মাঝে মাঝেই নানা বিতর্কিত কাণ্ড করে বসেন প্রেসিডেন্ট দুতার্তে। তবুও সাধারণ নাগরিকদের কাছে তিনি জনপ্রিয়।