নিজস্ব প্রতিবেদক: সাতক্ষীরা- ৩ আসনে টানা তৃতীয়বারের মত নির্বাচিত সংসদ সদস্য, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ আ. ফ. ম রুহুল হককে আবারো মন্ত্রী হিসেবে পেতে চায় সাতক্ষীরার ২২লক্ষ মানুষ। তিনি একজন শান্তি প্রিয় জনদরদি নেতা। তিনি সুফিসাধক খান বাহাদুর আহছান উল্লার দৌহিত্র। যে কারণে তিনি হানা-হানি, বিশৃঙ্খলা পছন্দ করেন না। প্রতিহিংসার রাজনীতি ও বিরোধী দলের সমর্থকদের দমন বা হয়রানির কোন ঘটনা তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে ঘটেনি। বরং তার সময়ে নির্বাচনী এলাকার সকল মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এলাকার উন্নয়ন করে সর্বস্তরের জনতার দোয়ারে দোয়ারে গিয়ে উঠান বৈঠক করে সাধারণ মানুষের মন জয় করে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন। সারা বিশ্বে বিশিষ্ট শৈল্য চিকিৎসক হিসেবে তার সুখ্যাতি রয়েছে। তারপরও তিনি সাতক্ষীরা সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেন। এর প্রেক্ষিতে বিগত ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। তিনি বিশ্ববিখ্যাত চিকিৎসক হওয়ায় শেখ হাসিনা তাকে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব পাওয়ার পর তিনি স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে একসাথে সারা দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে স্বাস্থ্যসেবাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের মান উন্নয়ন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়নেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। যে কারণে তিনি সারাদেশের মানুষের হৃদয়ে একজন সফল মন্ত্রী হিসেবে আসন করে নেন। বিশেষ করে সাতক্ষীরাকে আধুনিক সাতক্ষীরায় পরিণত করার জন্য তিনি সাতক্ষীরাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাছাড়া তিনি দেবহাটা, আশাশুনি এবং কালিগঞ্জে প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণ, ২৬ টি সাইক্লোন শেল্টার, একাধিক আশ্রয়ণ প্রকল্প, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, আশাশুনি ও দেবহাটায় ২ টি কলেজ ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংস্করণ, অসংখ্যা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন নতুন ভবন নির্মান করণ, দেবহাটায় অত্যাধুনিক থানা ভবন নির্মাণ, আশাশুনি ও কালিগঞ্জে দুইটি ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল নির্মাণ, বড়দল সেতু, মানিকখালি সেতু, তেতুঁলিয়া সেতু, শোভনালী সেতু, বাঁশতলা সেতুসহ অসংখ্যা ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি, সাতক্ষীরা বাইপাস ও আশাশুনি বাইপাস তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় আজ দৃশ্যমান, যুব উন্নয়নের মাধ্যমে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষিত বেকারের কর্মসংস্থান করাসহ অসংখ্যা উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং অনেক উন্নয়ন কাজ চলমান। বিশেষ করে বর্তমান তাঁর বিশেষ প্রতিশ্রুতি হিসেবে সাতক্ষীরায় আইটি পার্ক, বিশ^বিদ্যালয়, রেললাইন ও পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম করতে চান তিনি। আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাতক্ষীরার ২২লক্ষ মানুষ আবারও রুহুল হক এমপিকে পুনরায় মন্ত্রী হিসেবে পেতে চায়। দেবহাটা উপজেলার পারুলিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম বলেন, ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক সাতক্ষীরাবাসীর গর্ব। তিনি শুধু সাতক্ষীরার সম্পদ নন তিনি সারা দেশের সম্পদ। তার কারণে আমরা শুধু দেবহাটা আশাশুনিতে নয় গোটা সাতক্ষীরা জেলায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এখন আর স্বাস্থ্য সেবা নিতে মানুষকে ছুটে ঢাকা,খুলনা বা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে যেতে হয় না। স্বাস্থ্য সেবা এখন মানুষের দোর গোড়ায়। সাতক্ষীরার মানুষের জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত হয়েছে। যে কারণে আমরা পারুলিয়াবাসী সাতক্ষীরার কৃতি সন্তান ডা: আ.ফ.ম রুহুল কে আবারো স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। নলতা এলাকার ফারুকুল কবির বলেন, ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক স্যার একজন সাদা মনের সহজ, সরল মানুষ। তিনি গণমানুষের নেতা। সাতক্ষীরাবাসীর নেতা। সাতক্ষীরার উন্নয়নের স্বার্থে আমরা আবারো তাকে মন্ত্রী হিসেবে পেতে চাই। সাতক্ষীরা পৌর এলাকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ডা: আ.ফ.ম রুহুল সাহেবের কারণে আমরা স্বপ্নের মেডিকেল কলেজ পেয়েছি, বাইপাস সড়ক পেয়েছি, আধুনিক সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল পেয়েছি। সে কারণে আমাদের প্রাণের দাবি তাকে আবারো মন্ত্রীর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হোক। সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আহবায়ক এড. ফাহিমুল হক কিসলু বলেন, প্রফেসর ডা: আ.ফ.ম রুহুল হক একজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শৈল্য চিকিৎসক। তিনি স্বাস্থ্য বিভাগ কে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। তিনি একজন সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী। আমরা সাতক্ষীরাবাসীর পক্ষ থেকে আবারো তাকে মন্ত্রী হিসেবে পেয়ে চায়।