ছাত্রজীবনে তিনি ছিলেন রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী। সেই প্রতিদ্বন্দ্বীকে কাছে পেয়েই উচ্ছ্বসিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি হলেন বাংলাদেশ স্কাউট গার্লস ইন স্কাউটিং ফোরাম জাতীয় কমিটির সভাপতি প্রফেসর নাজমা শামস।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিপুল বিজয়ে বুধবার গণভবনে বিভিন্ন দল, সংগঠন ও শেণি-পেশার মানুষ যান দলটির সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে। অভিনন্দন জানাতে আসা মানুষগুলোর মাঝে ছিলেন নাজমা শামসও, যাকে দেখামাত্রই জড়িয়ে ধরেন শেখ হাসিনা।
পরে উপস্থিত সবাইকে শেখ হাসিনা নিজেই জানান, ছাত্রজীবনে তিনি যখন ইডেন কলেজের ছাত্রসংসদের ভিপি ছিলেন, তখন প্রফেসর নাজমা শামস ছিলেন জিএস। শেখ হাসিনা নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগ থেকে, আর নাজমা শামস নির্বাচিত হন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। তবে রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী হলেও তাদের মধ্যে সবসময়ই ছিল বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, যা এখনও বজায় আছে।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে ছবিসহ একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী উপ প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন। তিনি লিখেছেন, ‘উত্তাল দিনগুলোতে রাজপথে ছিলেন একসাথে। রাজনীতির আদর্শের মতভিন্নতা ছিল। দেশের প্রশ্নে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে পাক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে রাজপথ কাঁপিয়েছেন। সেই সম্পর্ক এখনো অটুট আছে। শত ব্যস্ততার মাঝেও দেখা হলেই স্মৃতিচারণে মেতে উঠেন। কৈশোরের সেই দিনগুলোতে বারবার ফিরে যান। কি রকম ছিল সেই আন্দোলনের দিনগুলি, সেই সময়ের ছাত্র রাজনীতিসহ নানা খুনসুটি। এরই একজন বাংলাদেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হ্যাট্রিক জয়ে দেশের চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শিগগিরই শপথ নিবেন।’
তিনি লিখেছেন, ‘ছবিতে আরেকজন যাকে দেখছেন, তিনি প্রফেসর নাজমা শামস। বর্তমানে বাংলাদেশ স্কাউট গার্লস ইন স্কাউটিং ফোরাম জাতীয় কমিটির সভাপতি। আজ গণভবনে এসেছিলেন ছাত্রজীবনের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী কে অভিনন্দন জানাতে।’খোকন লিখেছেন, ‘দেখেই একজন আরেকজনকে জড়িয়ে ধরেন। তাদের মধ্যে সম্পর্কের এই উষ্ণতা দেখে অভিনন্দন জানাতে আসা সকলের উৎস্যুক দৃষ্টি তখন সেদিকে। একে একে ক্যামেরাগুলোর ফ্লাশলাইট ঝলসে উঠলো। তখন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীই মুখ খুললেন। জানালেন, তিনি যখন ইডেন কলেজের ছাত্রসংসদের ভিপি ছিলেন তখন প্রফেসর নাজমা শামস ছিলেন জিএস। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন ছাত্রলীগ থেকে, আর নাজমা শামস ছিলেন ছাত্র ইউনিয়ন থেকে। কিন্তু সম্পর্কটা ছিল খুবই আন্তরিকতায় ভরপুর। সেই সম্পর্ক এখনো আছে।’