স্পোর্টস ডেস্ক: আগের মতোই মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এলেন, জিম করলেন, আড্ডা দিলেন। কিন্তু এই মাশরাফি ঠিক আগের মতোই নন। কারণ, তিনি এখন কেবল একজন ক্রিকেটার নন; একজন সংসদ সদস্য—মাশরাফি বিন মুর্তজা।
একজন সংসদ সদস্য হয়েও জাতীয় দলকে নেতৃত্ব দেবেন, বিপিএল খেলবেন, বিপিএলে রংপুর রাইডার্সকে নেতৃত্ব দেবেন। মাশরাফির এই নতুন ভূমিকা নিয়ে রোমাঞ্চিত বিসিবির সভাপতি, আরেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলছিলেন, ‘আমার মনে হয় ক্রিকেট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো এটি হতে যাচ্ছে। আমার এটি জানা নেই বা কখনো শুনিনি যে, একজন পার্লামেন্ট সদস্য ক্রিকেট খেলছে মাঠে এবং অধিনায়কত্ব করছে। সুতরাং এটি পুরোপুরি নতুন হবে এবং আমি অনেক রোমাঞ্চিত এটি নিয়ে। আমার মনে হয় এর চেয়ে ভালো কিছু আর হতে পারে না। ওর কিন্তু রাজনীতি করার পেছনে নিজে কি হবে এটার চিন্তা নেই। একটাই চিন্তা ওর মাথায়, সেটি হলো এলাকার কাজ। এলাকার মানুষের জন্য ও কিছু করতে চায়।’
নিজের এলাকার চিন্তা যেমন আছে, মাশরাফির মাথায় তেমনই ক্রিকেট আছে সর্বক্ষণ। পাপন বাংলাদেশ অধিনায়কের সাথে কথা বলেই নিশ্চিত হয়ে বলছিলেন, ‘ওর মনের মধ্যে যে সারাক্ষণ ক্রিকেটই আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ও একদম ওখান থেকে সরাসরি অনুশীলনে চলে গিয়েছে। বিপিএল শুরু হতে যাচ্ছে। সুতরাং নিজের খেলার প্রতি সম্পূর্ণ সিরিয়াস আছে, একটুকুও পরিবর্তন হয়নি। এর বড় প্রমাণ হচ্ছে, যখন আমরা নির্বাচনের মাঠে চলে গিয়েছি এবং এলাকায় কাজ করছি তখন কিন্তু সে খেলছিলো এবং খেলার মধ্যে ছিলো। ও অনেক দেরি করে গিয়েছে। এটাই প্রমাণ করে যে এখনও খেলাটিই তাঁর কাছে বেশি প্রাধান্য পায়।’
খেলোয়াড় মাশরাফির বিশ্বকাপ পর্যন্ত খেলে যাওয়া বা তার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই বোর্ড সভাপতির মনে। তিনি বলছিলেন, ‘মাশরাফি যা করেছে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের জন্য সেটাই যথেষ্ট হওয়া উচিত এদেশের মানুষের জন্য। তাঁর জীবন একরকমই থাকবে না, বিশেষ করে ক্রিকেটারদের। পারফর্মেন্স ওঠা-নামা করে এবং ও এমন একটি সময়ে এসেছে যখন কিনা প্রায় শেষের দিকে। যেকোনো সময়ে সে অবসরে চলে যেতে পারে। সেদিক থেকে চিন্তা করে আমরা চাই যতদিন সে খেলতে পারে খেলুক। আর তাঁর সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবে এই ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এখন পারফর্মেন্স কি হবে সেটি জানি না, কিন্তু সে যে চেষ্টা করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কারণ ও হচ্ছে সত্যিকারের একজন যোদ্ধা।’
মাশরাফির নেতৃত্বে এই বছরে বাংলাদেশ বিশ্বকাপ খেলবে। সাকিবের নেতৃত্বেও কঠিন কিছু সিরিজ খেলবে। পাপন বলছিলেন, খেলার বিবেচনায় এই বছরটা কঠিন হতে যাচ্ছে, ‘দেখুন আমি বলবো ২০১৮ সাল ছিলো আমাদের জন্য ভালো একটি বছর। শুধু শেষটি ভালো হয়নি। এরপরেও আমি বলবো যে উইন্ডিজদের মতো শক্তিশালী একটি দলের সাথে টেস্ট এবং ওয়ানডেতে সিরিজ জিতেছি। আমি বলবো যে ২০১৯ অত্যন্ত কঠিন হবে। আমাদের জন্য এটি অনেক কঠিন হবে। বাইরের সিরিজগুলো ছাড়াও আমাদের সামনে বিশ্বকাপ আছে।’