নিজস্ব প্রতিবেদক: আধুনিক সাতক্ষীরার রূপকার সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. রুহুল হক এমপিকে মন্ত্রী করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরার সম্মিলিত নাগরিক সমাজের আয়োজনে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সাবেক সাংসদ ডা. মোখলেছুর রহমান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাতক্ষীরা জেলা সভাপতি এড. ওসমান গণি, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম আরাফাত হোসেন, জেলা স্বাপিচের সাধারণ সম্পাদক ডা. মনোয়ার হোসেন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব লায়লা পারভীন সেঁজুতি, মজনু চৌধুরি, ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, সাতক্ষীরা জজকোর্টের এপিপি এড. সাহেদুজ্জামান সাহেদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আশিক রহমান, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আসিফ শাহাবাজ খান, প্রমুখ। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ডা. রুহুল হক দেশের সম্পদ। স্বাস্থ্য বিভাগ কেন পররাষ্ট্রের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও তিনি সামলানোর যোগ্যতা রাখেন। যেকারণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রীত্বের বাইরে রেখেও গত ৫ বছর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সভা সেমিনারে ডা. রুহুল হককে দেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পাঠিয়েছেন। আবার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে অধিস্থিত করে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মত বড় প্রকল্প বাস্তবায়নেও তাকে গুরু দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তার অভিজ্ঞতার কারণে। ফলে শুধু সাতক্ষীরার ক্ষুদ্র স্বার্থে নয় দেশের বৃহৎ স্বার্থে আবার এই মানুষটিকে মন্ত্রী করা প্রয়োজন। আমরা সাতক্ষীরার সম্মিলিত নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে সাবেক সফল স্বাস্থ্য মন্ত্রী আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শৈল্য চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. আ. ফ. ম রুহুল হককে আবারো দেশ ও সাতক্ষীরাবাসীর স্বার্থে মন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই। সাতক্ষীরায় মেডিকেল কলেজের মত প্রতিষ্ঠান তারই নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিগত ১০ বছরে সাতক্ষীরা জেলার সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে রয়েছে তার ছোঁয়া। আপনারা জানেন ইতোপূর্বে ২০০৯ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবার মানকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌছে দেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে সে সময় তিনি জাতিসংঘের এমডিজি পুরস্কার পেতে নেতৃত্ব দেন। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চিকিৎসক হওয়ায় তিনি বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সবচেয়ে দক্ষ মন্ত্রী হিসেবে পরিচিতি পান। তার প্রতি অবিচল আস্থার কারণে গত ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনী ডামাডোলের মধ্যেও সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিজের পরিবর্তে বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে ডাঃ আ.ফ.ম রুহুল হককে পাঠান। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রী সংসদের ভিপি ছিলেন সেই একই সময়ে ডা: রুহুল হক ছিলেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি। যে কারণে ডা: রুহুল হক মাননীয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার অত্যন্ত আস্থাভাজন। আমরা মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন হওয়ায় তিনি আবারো মন্ত্রী হলে সাতক্ষীরা জেলা উন্নয়নের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে যাবে। সাতক্ষীরায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের স্বপ্ন পূরণ হবে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারে তিনি দেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালে সারা দেশের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করে একসাথে সারা দেশে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করে স্বাস্থ্যসেবাকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছিলেন। চিকিৎসকদের মান উন্নয়ন, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে আধুনিকায়নেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। যে কারণে তিনি সারাদেশের মানুষের হৃদয়ে একজন সফল মন্ত্রী হিসেবে আসন করে নেন। নিজ জেলা সাতক্ষীরাকে আধুনিক সাতক্ষীরায় পরিণত করার জন্য তিনি সাতক্ষীরাবাসির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তাছাড়া বর্তমানে তাঁর বিশেষ প্রতিশ্র“তি হিসেবে সাতক্ষীরায় আইটি পার্ক, বিশ^বিদ্যালয়, রেললাইন ও পূর্ণাঙ্গ স্টেডিয়াম করতে চান তিনি। আগামীতে এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে সাতক্ষীরার ২২লক্ষ মানুষ আবারও রুহুল হক এমপিকে পুনরায় মন্ত্রী হিসেবে পেতে চায়।