জাতীয়

সেনাবাহিনী নির্বাচনে জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সফল

By daily satkhira

January 04, 2019

দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে সেনাবাহিনী জনগণের আস্থা ধরে রাখতে সফল হয়েছে বলে অভিমত দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, বৃহস্পতিবার পূর্বাচলসংলগ্ন জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজ উদ্বোধনকালে সেনাবাহিনী প্রধান এ কথা বলেন।

সেনাপ্রধান বলেন, ‘সেনাবাহিনী কোনো দলের পক্ষ নিয়ে কাজ করেনি। নির্বাচনে কয়েকটি জায়গায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সহিংসতা হলেও সেনাবাহিনীর তৎপরতায় কোথাও সাধারণ ভোটাররা আক্রান্ত হননি। ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে দেশব্যাপী প্রতিদিন এক হাজারেরও বেশি টহল পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী।’

আইএসপিআর জানায়, ঢাকার পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এক্সপ্রেস হাইওয়ের দক্ষিণে পূর্বাচলসংলগ্ন জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প এলাকায় ১০, ১২ এবং ১৬ নম্বর সেক্টরে যথাক্রমে ‘আদমজী পাবলিক স্কুল ও কলেজ’, ‘জলসিঁড়ি পাবলিক স্কুল ও কলেজ’ এবং ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ’ নামে তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মিত হতে যাচ্ছে। সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, এ তিনটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাথমিক ধাপের নির্মাণকাজ ২০১৯ সালের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় শিক্ষা কার্যক্রম চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

উদ্বোধন শেষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়ম অনুযায়ী সামরিক বাহিনীর সদস্যের সন্তানরা পড়বে। পাশাপাশি যারা জমি দিয়ে জলসিঁড়ি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে তাদের এবং স্থানীয় অসামরিক ব্যক্তিবর্গের সন্তানরাও পড়ালেখার সুযোগ পাবে। এখানে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় করার পরিকল্পনা রয়েছে। এসব অবকাঠামো নির্মিত হলে এলাকার ব্যাপক উন্নতি হবে।’

প্রথম পর্যায়ের নির্মাণকাজ শেষে আদমজী পাবলিক স্কুল ও কলেজে ২০২০ সালে প্রথম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৫০০ জন ছাত্রছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণকাজ শেষ হলে এখানে তিন হাজার ২০০ ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে। একই ভাবে ‘জলসিঁড়ি পাবলিক স্কুল ও কলেজ’ এবং ‘বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও কলেজ’ এর সম্পূর্ণ নির্মাণকাজ শেষ হলে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়ার সুযোগ পাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা, স্থানীয় এবং ঢাকা সেনানিবাস এলাকার বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।