স্বাস্থ্য কণিকা: সারা বছর হাপানীর সমস্যা থাকলেও শীত এলে এর প্রকোপ অনেক বেড়ে যায়। শ্বাসনালী চিকন বা সরু হয়ে যায় এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। হাপানী বা অ্যাজমার আক্রমণে আপনার প্রাণ পর্যন্ত চলে যেতে পারে। হাপানী থেকে মুক্তি পেতে ঔষধের পাশাপাশি সঠিক খাবার এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও খুব গুরুত্বপূর্ণ। হাপানী রোগীদের খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে বেশ সচেতনা অবলম্বন করতে হবে। কিছু কিছু খাবার আছে যা আপনাকে আরো বেশি কষ্ট দিতে পারে। তাই জেনে নিন হাপানী রোগে যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ।
ফাস্টফুড ও বাদাম জাতীয় খাবার: লোভনীয় খাবার ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, বিফ স্টেক, এলকোহল ইত্যাদি খাবার হাপানী প্রচুর পরিমানে বাড়িয়ে দেয় তাছাড়া চিনাবাদাম স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও হাপানী রোগীদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যতটা সম্ভব এসব খাবার হাপানী রোগীদের এড়িয়ে চলা উচিৎ।
কৃত্রিম জুস: বাজারে অনেক ধরণের জুস পাওয়া যায়। হরহামেসায় এসব জুস অনেকেই থাকেন। কৃত্রিম এ জুস হাপানী রোগীদের না খাওয়াটাই সবচেয়ে শ্রেয়। তার চেয়ে তাজা ফলমূল, লেবু ইত্যাদির জুস বানিয়ে খেতে পারেন এতে করে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা কিছুটা হলেও কমবে।
আচার জাতীয় খাবার: সবাই আচার খেতে পছন্দ করে। তবে আচারে সালফিটস উপাদান থাকে যা শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে সমস্যা তৈরি করে। হাপানী রোগীদের আচার জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।
আমিষ খাবার: দুধ, ডিম, মাছ, ব্রয়লার মুরগী, গরুর মাংস ইত্যাদি খাবার হাপানী রোগীদের না খাওয়াই ভালো। এসব খাবারে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে যা এলার্জি বাড়িয়ে হাপানী সমস্যা সৃষ্টি করে।
শুকনা খাবার: ডায়েট করার জন্য দুপুরের খাবরের পরিবর্তে অনেকেই শুকনা খাবার খেয়ে থাকেন। এসব শুকনা অনেক হাপানী সৃষ্টিকারী উপাদান থাকে। এজন্য বিস্কুট, বার্গার, পিৎজা, ফ্রাইড চিকেন ইত্যাদি খাবার না খাওয়াই ভালো।