দেশের খবর: নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণের শিকার সেই নারীর যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয়, আইনি সহায়তা ও পরিবারের পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) একরামুল করিম চৌধুরী।
শুক্রবার বিকেলে তার পক্ষ থেকে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে দেখা করে এ ঘোষণা দেন। এ সময় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ওই নারীকে আর্থিক সহায়তাও দেয়া হয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আবদুল মমিন বিএসসি, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, নোয়াখালী শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মোজাম্মেল হক মানিক।
গত রবিবার ভোটকেন্দ্রে তর্কাতর্কি নিয়ে রাতে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে ওই নারীকে মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে চরজাব্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রতিনিধি দলে থাকা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহীন জানান, তারা স্থানীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে ওই নারীর খোঁজখবর সব সময় রাখছেন। আজ তাকে আর্থিক সহায়তা প্রদানসহ এমপির পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন।
এ বিষয়ে এমপি একরামুল করিম চৌধুরী জানান, ঘটনাটি শোনার পর থেকে তিনি পুলিশ প্রশাসনকে বলেছেন এ ন্যাক্কারজনক ঘটনায় যেই জড়িত থাকুক তাকে দ্রুত গ্রেফতার করা হোক। তিনি সব খোঁজখবর রাখছেন। আজ তার পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিদল হাসপাতালে ওই নারীর সঙ্গে দেখা করেছে। নির্যাতনের শিকার পরিবারটির সব দায় দায়িত্ব তিনি নিয়েছেন।
এদিকে এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম থেকে হাসান আলী বুলু নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর আগে পুলিশ একই জেলা থেকে জসিম উদ্দিন নামে আরও একজনকে গ্রেফতার করে। এ নিয়ে এ মামলায় মূল নির্দেশদাতা সাবেক মেম্বার রুহুল আমিন, প্রধান আসামি সোহেল, বাদশা আলম ওরপে কুড়াইল্যা বাসু, বেচু, স্বপনসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হলো।