জাহাঙ্গীর আলম লিটন: সাতক্ষীরার কলারোয়ায় অটো ব্রিক্সের তৈরি ইটের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্বয়ংক্রিয় মেশিনে তৈরি এই ইটের মান ভালো হওয়ায় বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণে এখন অটো ব্রিক্সের দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় বৃদ্ধি পাচ্ছে অটো ব্রিক্সের তৈরি ইটের চাহিদা। জানা গেছে, ২০০৯ সালের শুরুতে কলারোয়া উপজেলার হেলাতলার মোড় গ্রামীণ ব্যাংকের পাশে গড়ে তোলা হয় এসআর অটো ব্রিক্স ফিল্ড এন্ড ম্যানুফ্যাক্সারিং। যা সাতক্ষীরার মধ্যে প্রথম এ সেমি অটো ব্রিক্স। সম্পূর্ণ অটোমেটিক মেশিনে চলা ব্রিক্সটিতে রয়েছে ১টি শেড। সেখানে কাজ করেন ১৬জন শ্রমিক। প্রতিদিন ২৬হাজহার পিচ ইট তৈরী হয় এ কারখানায়। এসআর অটো ব্রিক্স ফিল্ড এন্ড ম্যানুফ্যাক্সারিং সূত্রে জানা গেছে, খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করে দেখা গেছে, সাধারণ ইটের তুলনায় অটো মেশিনে তৈরি ইটের মান অত্যান্ত ভালো। এর ওজনও বেশি। যেকারণে এই ইটের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এসআর অটো ব্রিক্স ফিল্ড এন্ড ম্যানুফ্যাক্সারিং এর পরিচালক রবিউল ইসলাম জানান, আমাদের তৈরি ইট শতভাগ নোনোমুক্ত। এক ট্রাক সাধারণ ইটে ২৩০ সেফটি খোয়া হয়। আর অটো ব্রিক্সের ইটে পাওয়া যায় ২৯০ সেফটি খোয়া। ম্বয়ংক্রিয় মেশিনে প্রস্তুত এই ইটের গুনগত মান অধিক ভালো বলে কুয়েক থেকে পরীক্ষার পর আমাদের জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সাধারণ ভাটায় ৬শ’ টেমপারাচারে ইট প্রস্তুত হয়। আর আমাদের অটো ব্রিক্সে ১২শ’ টেমপারাচারে প্রস্তুত হয়। এতে ইট অনেকটা পাথরের মতো শক্ত হয়ে থাকে। এখানে প্রতি হাজার ইট ৮হাজার টাকায় বিক্রয় হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব হওয়ায় ইতিমধ্যে আমাদের সার্টিফিকেটও প্রদান করা হয়েছে। এব্যাপারে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল উমাম জানান, অটোমেটিক মেশিনে তৈরি ইটের গুনগত মান ভালো হবে এটাই স্বাভাবিক। কেননা মেশিনে কতটুকু পানি লাগবে, মাটি লাগবে, তাপমাত্রা কতটুকু প্রয়োজন তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে হয়ে থাকে। আবার মাটিতে কোনো ধরণের বস্তু যেমন লোহা, ইটের গুড়া বা অন্যান্য কোনো শক্ত কিছু থাকলে তা মেশিনে ধরা পড়ে। তাই অটো মেশিনে প্রস্তুত ইটের মান অবশ্যই ভালো । এই ব্রিক্স এ অটো মেশিন ৩লাখ টাকায় বিক্রয়ও হচ্ছে।