মোঃ নুরুজ্জামান শ্যামনগর : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার নুরনগর মহিলা দাখিল মাদ্রাসা চলাকালিন সময়ে অবাধে ইট ভাটার মাটি ভর্তি ডাম্বার ট্রাক চলছে। অতিরিক্ত শব্দ দূষনের কারনে কোমলমতি বাচ্চাদের নষ্ট হচ্ছে লেখা পড়াই মনোযোগ। ক্ষতি হচ্ছে মেধাবীদের ভবিষৎ। যদিও মাদ্রাসার সুপার সিরাজুল ইসলাম বলছেন, আমরা ভাটা মালিকদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকি যে কারণে ডাম্বার গাড়ি চললেও আমরা তাদের কিছু বলতে পারছি না। সাংবাদিককে তিনি প্রশ্ন করে বলেন, মেইন রাস্তার স্কুল গুলোতেওতো গাড়ি চলে পরিবেশ দূষন হচ্ছে কিন্তু তাতে কোন সমস্যা নেই? এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করার দরকার নেই। যে ভাবে চলছে সেভাবে চলতে থাকুক। ছাত্রীরা বলছেন মাদ্রাসা চলাকালিন সময়ে ইট ভাটার মাটি ভর্তি ডাম্বার গাড়ি চলাচল করায় আমাদের লেখাপড়ায় করতে অসুভিধা হয়। আমাদের দাবী মাদ্রাসা চলাকালিন সময়ে ইট ভাটার মাটি ভর্তি গাড়ি যেনো না চলে। আমরা সকালে যখন মাদ্রাসায় আসি তখন ডাম্বারের কারণে রাস্তা ক্রস করতে ভয় হয়। এবিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের জরুরী হস্তক্ষেপ কামনা করছি। এরই মধ্যে সচেতন মহল প্রশ্ন তুলেছেন, মাদ্রাসাতে যদি শিক্ষার্থীদের লেখা পড়ার পরিবেশ না থাকে তাহলে ভাটা মালিকের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা নিয়ে লাভ আছে কি? এদিকে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন মিনি কার্পেটিং রাস্তায় ইট ভাটার মাটি ভর্তি ডাম্বার ট্রাক অধীক লাভের আশায় বেপরোয়া গতিতে চলাচল করায় নিত্য নৈর্মিতিক দূর্ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সংশ্লীষ্ট প্রশাসনের নেই কোন নজরদারী। কথিত আছে ইট ভাটার মালিকরা বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে তারা মিনি কার্পেটিং রাস্তা ধংশ করে চালাচ্ছে ইট ভাটার মাটি ভর্তি ডাম্বার গাড়ি।