দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বৈঠক বসতে পারে ২৩ জানুয়ারি। আজ সোমবার নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার শপথের পর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা চাওয়া হবে। এরপর এ সংক্রান্ত ফাইল রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের জন্য বঙ্গভবনে পাঠানো হবে। এ বিষয়ে সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে সংসদ সচিবালয়ের।
আইনানুযায়ী নির্বাচনের ফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সংসদের প্রথম বৈঠক বসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সেই হিসাবে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে একাদশ সংসদ অধিবেশন বসতে হবে। বর্তমান দশম সংসদের মেয়াদ শেষ হবে ২৮ জানুয়ারি।
আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে, দশম সংসদের পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণের লক্ষ্যে একাদশ সংসদের প্রথম বৈঠক ২৯ অথবা ৩০ জানুয়ারি বসার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ছিল। তবে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৩ জানুয়ারি অধিবেশন করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আজ মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে নতুন সরকার গঠনের পর এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেলেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। সংসদের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারির পর যে কোনো দিন নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকে বসার প্রস্তুতি রয়েছে সংসদ সচিবালয়ের। তবে এ সংক্রান্ত ফাইল বঙ্গভবনে পাঠানোর জন্য প্রস্তুত করা হলেও তাতে দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি। আজ মন্ত্রিসভার শপথ হওয়ার পর নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী তারিখ উল্লেখ করে বঙ্গভবনে পাঠানো হবে। বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পরই বসবে নতুন সংসদ।
কর্মকর্তারা আরও জানিয়েছেন, প্রথা অনুযায়ী বছরের শুরুতে ও নতুন সংসদের প্রথম বৈঠকের শুরুতেই রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেন। তারপর পুরো অধিবেশনে সাংসদরা সেই ভাষণের ওপর আলোচনা করেন। অধিবেশনের শেষ দিন রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রস্তাব পাস হয়। এবারের অধিবেশন দীর্ঘ হওয়ার সম্ভাবনার কথাও জানান তারা।
সংসদের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিনেই নতুন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন হবে। এ ছাড়া কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী, বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিও প্রথম অধিবেশনে গঠনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিগুলো তৃতীয় অধিবেশনের মধ্যে গঠনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এই কমিটি প্রথম অধিবেশনেই করা হতো। এবারও প্রথম অধিবেশনের মধ্যে এসব কমিটি গঠনের সম্ভাবনা রয়েছে। এসব কমিটির সভাপতি পদে সিনিয়র সাংসদদের দেখা যেতে পারে। এর আগে নবম সংসদেও অপেক্ষাকৃত তরুণদের নিয়ে মন্ত্রিসভা গঠন করে সিনিয়র এমপিদের সংসদীয় কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছিল।