একটা সময় ভারতের পাশ ঘেঁষেই যাচ্ছিল ইংল্যান্ডের রানরেট। জো রুট ও ইয়ন মরগান খেলছিলেন নিজেদের সুনাম বজায় রেখেই। যুভেন্দ্র চাহাল প্রথম ওভারে উইকেট নিলেও অপর স্পিনার অমিত মিশ্রর ওপরই ভরসা রেখেছিলেন বিরাট কোহলি। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে অধিনায়কের আস্থা রাখেন মিশ্র। তবে দ্বিতীয় স্পেলে ফিরে নিজের আসল চেহারা দেখালেন চাহাল। ১২ বলে তুলে নিলেন পাঁচ-পাঁচটি উইকেট। আর এই লেগস্পিনারের ঘূর্ণিতেই কুপোকাত হয়ে টেস্ট, ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজটাও খোয়াল ইংল্যান্ড। চাহালের স্পেল শেষ হওয়ার সময় ১২৭ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে ইংল্যান্ড। ১৭তম ওভারে বাকি দুটি উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের ইনিংসটা গুটিয়ে দেন জাসপ্রিত বুমরাহ।
ব্যাঙ্গালুরুতে এর আগে সুরেশ রায়না ও মহেন্দ্র সিং ধোনির ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৩ উইকেট ২০২ রান তোলে ভারত। জবাবে ১৬.৩ ওভারে ১২৭ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস। ৭৫ রানের বড় জয় নিয়ে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষ করল ভারত।
২০৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই স্যাম বিলিংসকে ফিরিয়ে দেন চাহাল। দলীয় ৫৫ রানে ভয়ংকর হয়ে ওঠা জেসন রয়কে ধোনির গ্লাভসবন্দি করান অমিত মিশ্র। এরপর ৭ ওভারে ৬৪ রান যোগ করে কোহলির কপালে বেশ কয়েকটি ভাঁজ ফেলে দেয় রুট-মরগান জুটি। তবে চাহাল আসতেই বদলে গেল দৃশ্যপট। ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে মরগানকে ঋশব পান্টের তালুবন্দি করে ধ্বংসযজ্ঞের শুরুটা করেন এই লেগস্পিনার। এরপর একে একে রুট, বাটলার, মইন আলী ও বেন স্টোকসকে ফিরিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের মেরুদণ্ডটা ভেঙে দেন চাহাল। গল্পের বাকিটা তো সবার জানাই।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ভারতের শুরুটা বেশ বাজে হয়। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে ফেরেন অধিনায়ক কোহলি। এরপর লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ৬১ রান যোগ করেন সুরেশ রায়না। দলীয় ৬৫ রানে রাহুল ফিরলেও থামেননি রায়না। ধোনিকে নিয়ে যোগ করেন আরো ৫৫ রান। ৪৫ বলে পাঁচটি বিশাল ছয় ও দুটি চারে ৬৩ রান করে আউট হন বাঁহাতি রায়না। এরপর ধোনি খেলেন তাঁর সহজাত খেলাটাই। যুবরাজকে নিয়ে ২৮ বলে ৫৭ রান যোগ করেন ধোনি। শেষ পর্যন্ত ৩৬ বলে ৫৬ রান করে বিদায় নেন সাবেক ভারত অধিনায়ক। মাত্র ১০ বলে ২৭ রান করেন যুবরাজ।