সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরায় কন্যার অত্যাচারে অতিষ্ঠ পিতার সমাজের বিবেকবান মানুষের হস্তক্ষেপ কামনা

By Daily Satkhira

February 02, 2017

মাহফিজুল ইসলাম আককাজ: সাতক্ষীরায় আদালতের রায় পেয়েও নিজ বাড়িতে বসবাস করতে পারছেনা পিতা ও পুত্র। পৈত্রিক সম্পত্তির বন্ঠনের  জের ধরে শহরের ১নং ওয়ার্ডের কাটিয়া এলাকার সাবেক ব্যাংকার আব্দুল মাজেদ ও তার পুত্র মোস্তফা ইকবাল মাহমুদ নানাভাবে হয়রানী, হুমকি ধামকির কবলে পড়েছে। নিজ বসত ভিটায় পৌর বিধির প্লান অনুযায়ী বিল্ডিং নির্মান কাজে তার নিজ কন্যা  শামীমা নাসরিন স্থানীয় ক্ষমতাসীন নেতার প্রভাব দেখিয়ে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জীবন নাশের হুমকি ও নির্মানাধীন বিল্ডিংয়ের কাজ বন্ধ করে ও ক্ষান্ত হননি। এর পরেও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নিজ পিতা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে ইং-১৮/০৯/২০১৬  তারিখে ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে ১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করে । একই মামলায় আদালতের শরনাপনর্ণ হলে ইং- ২৪/০১/২০১৭ তারিখে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে  উভয় পক্ষের দলিল দস্তাবেজ পর্যালোচনা করে যে যার স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে পৌরসভার অনুমোদিত নকশা এবং নীতিমালার আলোকে গৃহ নির্মান কাজ করার জন্য আদেশ প্রদান করে। আদালতের রায় উপেক্ষা করে শামীমা নাসরিন নিজ পিতা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে নির্মান কাজে বাঁধা ও ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। সাবেক ব্যাংকার আব্দুল মাজেদ জানান,  আমার অবাধ্য সন্তান শামীমা নাসরিন। আমার ছেলে মোস্তফা ইকবাল মাহমুদের বাড়ির নির্মান করতে বাঁধা প্রদান ও প্রতিনিয়ত দেশীয় অস্ত্র দা, বটি ও শাবলসহ গালিগালাজ করে রাজ মিস্ত্রীদের কাজ করতে দিচ্ছেনা। সেই সাথে ক্ষমতাসীন এক রাজনৈতিক নেতা ঐ মেয়ের পক্ষ নিয়ে আমাকে জেএমবি’র মামলা দেওয়ার হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। নিয়তির কি নির্মম পরিহাস বয়সের শেষ প্রান্তে এসে নিজ কন্যার দ্বারা লাঞ্চনা গঞ্জনা সহ্য করতে হচ্ছে। আমি ২ ছেলে ও ১ মেয়েকে ৪৪ শতক জমির  মধ্যে বড় ছেলেকে ১৪ শতক, ছোট ছেলেকে ৮ শতক এবং মেয়েকে ৯ শতক, স্ত্রীর নামে সাড়ে ৬ শতক এবং আমার নিজ নামে সাড়ে ৬ শতক জমি কোবালা দলিল করে বন্ঠন করে দিয়েছি। কিন্তু আমার মেয়ে তাতে সন্তষ্ট হতে পারছেনা। মেয়ে নিজ ভাগের জমিতে আগেই তার ভাই ইকবালের ১৪ শতক জমির মধ্যে ৪ শতক জমি দখল করে ঘর তৈরী করে। ইকবাল যখন ঘর তৈরী করে তখন তার বোন শামীমা নাসরিন গৃহ নির্মানে নানাভাবে বাঁধা প্রদান করে আসছে এবং  উল্টো আমার নামে ও তার ভাইয়ের নামে কোর্টে ১৪৫ ধারার মামলা এবং সদর থানায় অভিযোগ দাখিল করে।  সম্প্রীতি ইকবাল মাহমুদ তার নিজ জায়গায় মিস্ত্রী নিয়ে ঘরের কাজ করছিল। সেই মুহুর্তে তার বোন শামীমা নাসরিন কাজে বাঁধা দেয় এবং পৌরসভায় কাজ বন্ধের আবেদন করে। পৌরসভা জমি ও আদালতের কাগজপত্র দেখে স্বত্ব দখলীয় সম্পত্তিতে পৌরসভার অনুমোদিত নকশা এবং নীতিমালার আলোকে গৃহ নির্মান কাজ করার জন্য অনুমতি প্রদান করে । শামীমা নাসরিন কোন নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আদালতের রায় মানতে সে নারাজ। নিজ কন্যার অত্যাচারে অসহায় পিতা ও পুত্র মানবেতর জীবন যাপন করছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও সমাজের বিবেকবান মানুষের কাছে শরানাপর্ণ ও আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।