ভিন্ন স্বা‌দের খবর

রাগ কমানোর অদ্ভুত ঘর

By Daily Satkhira

January 15, 2019

ভিন্ন স্বাদের খবর: প্রচণ্ড রাগ হলে বকাঝকা, চিৎকার চেঁচামেচি করেন বেশিরভাগ মানুষ। কেউ কেউ আবার ঘরের জিনিসপত্র ভাঙেন, হাতের কাছে যা পান ছুঁড়ে ফেলে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটান। রাগ এমনই এক অনুভূতি যা আটকে রাখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে রাগ কমানোর জন্য যদি আলাদা ঘরই পাওয়া তাহলে তা বেশ বিস্ময়করই বটে।

শুনতে অবাক লাগলেও জিনিস বা আসবাব ভেঙে রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে সাহায্য করতে একটি সংস্থাই রয়েছে চীনের বেজিং শহরে। ‘অ্যাঙ্গার রুম’ বলে পরিচিত বেইজিংয়ের এই আজব ঘরে কিছু টাকার বিনিময়ে নিশ্চিন্তে যা খুশি ভেঙে রাগ ঝাড়ার অনুমতি রয়েছে।

তবে ‘আ্যাঙ্গার ঘরে’ জিনিস ভাঙার সময় প্রতিরক্ষামূলক পোশাক ও হেলমেট পরে নিতে হবে। এরপর হাতুড়ি ,ব্যাট যা খুশি দিয়ে আপনি জিনিসপত্র ভাঙতে পারেন। আপনার রাগ বা হতাশা প্রকাশের সময় এই অ্যাঙ্গার রুমের মালিকরা পছন্দমতো মিউজিকও চালিয়ে দেবেন।

জানা গেছে, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ২৫ বছর বয়সী জিন মেং এবং তার বন্ধুরা মিলে ‘স্ম্যাশ’ নামের এই অ্যাঙ্গার রুমটি খোলেন। বর্তমানে এখানে প্রতি মাসে গড়ে ১৫ হাজার বোতল ভেঙে মানুষ তাদের রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটাচ্ছে।

জিন জানান, সেকেণ্ড হ্যান্ড বিভিন্ন দোকান থেকে তারা এই ঘরের জন্য পুরনো টেলিভিশন,টেলিফোন, বোতল, ঘড়িসহ আরও অনেক জিনিসপত্র কেনেন ।সেগুলো ভেঙেই রাগ প্রকাশ করেন ক্রেতারা। বর্তমানে জিনের সংস্থায় প্রতি মাসে গড়ে ৬০০ জন ক্রেতা আসছেন।

স্ম্যাশের সহ- প্রতিষ্ঠাতা জিন বলেন, ‘বেইজিংয়ের মতো বড় শহরে মানুষ প্রচণ্ড মানসিক চাপপূর্ণ জীবনযাপন করে। আমাদের লক্ষ্য মানসিক চাপ মোকাবিলায় মানুষকে সাহায্য করা’।

বর্তমানে ‘অ্যাঙ্গার ঘরে’ এক রুমে একজন আধ ঘণ্টার জন্য বাংলাদেশী টাকায় ১৯০০ টাকা দিয়ে রাগ কমাতে জিনিসপত্র ভাঙতে পারবেন। চারজনের গ্রুপের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা আছে।

স্ম্যাশের কার্যক্রমে সাড়া পাওয়ায় একটা শপিং মলে নতুন আরেকটি ‘অ্যাঙ্গার রুম’ করার কথা ভাবছেন জিন।

বেজিংয়ের ‘অ্যাঙ্গার রুমে’ যারা আসেন তাদের অধিকাংশেরই বয়স ২০ থেকে ৩৫ এর মধ্যে। জিন বলেন, ‘মানুষে এখানে এসে যখন জিনিসপত্র ভাঙেন তখন আমাদের মনে হয় নেতিবাচক শক্তির বহিঃপ্রকাশের জন্য একটি নিরাপদ জায়গা আমরা তাদের দিতে পেরেছি। এ জন্য সত্যিই আমরা বেশ খুশী’। সূত্র: এনডিটিভি, নিউজ এইট্টিন