আজকের সেরা

শিক্ষা ক্যাডারের জামাতীরা আছেন ভালো পদে, প্রগতিশীলরা মফস্বলে

By Daily Satkhira

January 16, 2019

শিক্ষা সংবাদ: বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে থাকা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীসহ প্রগতিশীল অনেক শিক্ষক বছরের পর বছর মফস্বলে চাকরি করলেও কথিত নিরপেক্ষ ও বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকরা মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ ঢাকার বিভিন্ন দপ্তর ও বোর্ডে আছেন বহাল তবিয়তে। পদোন্নতি হলেও ঘুরে ফিরে তারা বছরের পর বছর লোভনীয় পদগুলোতেই আছেন। বদলি না হওয়ায় শিক্ষা বোর্ড থেকে অধিদপ্তরের প্রতিটি স্তরের গড়ে উঠেছে অবৈধ সিন্ডিকেট। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি এসব কর্মকর্তাদের বারবার বদলির সুপারিশ করলেও তা কার্যকর হয়নি। বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনে করা সুপারিশও আমলে নেয়নি গত ১০ বছরে শিক্ষা প্রশাসনে থাকা বড় কর্তারা।

শিক্ষা বোর্ডগুলোতে কয়েকজন কর্মকর্তা বছরের পর বছর ধরে প্রেষণে চাকরি করায় অবৈধ সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে অভিযোগ তুলে বদলির দাবি তুলেছে শিক্ষা বোর্ডগুলোর কর্মচারীরা। ঢাকাসহ বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী নেতারা বোর্ডগুলোর সিন্ডিকেট ভাংতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছেন। তবে বদলি ও পদায়ন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ শাখার এক অতিরিক্ত সচিব ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাবেক বিতর্কিত ও দেশান্তরী একজন এপিএসের প্রভাবই সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, বাইচান্স (পররাষ্ট্র, প্রশাসন ও পুলিশ ক্যাডার চেয়েও যারা মেধার কারণে পাননি) শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের একাটি বড় অংশ যেকোনও মূল্যে কলেজ বাদ দিয়ে অধিদপ্তর, প্রকল্প ও বোর্ডে চাকরি করতে চান। গড়পড়তা হিসেবে শিক্ষা ক্যাডারের ৮০ শতাংশই জামাত-বিএনপি ও মধ্যপন্থী। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালে কয়েক হাজার ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির নেতা-কর্মীকে শিক্ষা ক্যাডারের চাকরি দেন। আবার শুধু ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে ড. ওসমান ফারুকের জামানায় হাওয়া ভবনের তালিকায় বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারে প্রবেশ করেছেন চার শতাধিক শিবির সদস্য। জানা যায়, শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের একটি অংশ কোটা সুবিধা নিয়ে উপ-সচিব হওয়ার চেষ্টা করেন মরিয়া হয়ে। গত দশ বছরে জামাত-বিএনপিপন্থী শিক্ষা ক্যাডার সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে ১০ জন উপসচিব হয়েছেন। এখানেও আওয়ামী লীগপন্থীরা পিছিয়ে রয়েছেন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা প্রশাসনে গত বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলেছে বদলি বাণিজ্য। একজন অতিরিক্ত সচিবের ডিলারদের হাতে টাকা দিলেই ভাল পদায়ন পাওয়া যেতো। তিনি সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের নাম ভাঙ্গিয়ে বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। বদলির জন্য মন্ত্রীর কাছে মিথ্যা তথ্যও দিতেন এই অতিরিক্ত সচিব।

জানা যায়, শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন পদে সাধারণত প্রেষণে আসেন সরকারী কলেজের শিক্ষকরা। অথচ অনেকেই আছেন যারা প্রশাসনে চাকরি করতে এসে তাদের মূল পেশা শিক্ষকতাই ভুলে গেছেন। অনেক শিক্ষকই দীর্ঘ ২০ বছর ধরে প্রশাসনে চাকরি করছেন। আবার তদ্বিরের জোরেই অনেক জুনিয়র কর্মকর্তা সিনিয়র পদও দখল করে রেখেছেন। অথচ সরকারী চাকরি বিধিমালায়ও তিন বছর পর পর কর্মকর্তাদের বদলি করার বিধান রয়েছে।

জানা যায়, একই স্থানে দীর্ঘদিন ধরে শেকড় গেড়ে বসা কর্মকর্তারা নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ রয়েছে। এমনকি শিক্ষা বোর্ডগুলোতে প্রচুর আয়ের উৎস থাকায় সেখান থেকে কর্মকর্তারা কোনভাবেই বদলি হতে চান না। গত বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি বোর্ডের দুর্নীতিরোধে বোর্ড কর্মকর্তাদের এক স্থানে না রেখে আন্তঃবোর্ড বদলির সুপারিশ করেন। কিন্তু সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করেনি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নে বাধা সেই চক্রই। গত নভেম্বর মাসে বদলির ঘুপচি আদেশে শাহেদুল খবির চৌধুরীকে বোর্ডের সচিব পদে বসানো হয়েছে। ওই আদেশটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া হয়নি। একইভাবে ঘুপচি আদেশে সৈয়দ মইনুলকে শিক্ষা অধিদপ্তরে পদায়ন করা হয় দুই মাস আগে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের কর্মচারী সমিতির অভিযোগ থেকে জানা যায়, বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবির চৌধুরী ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক পদে পদায়ন পান। এরপর সহযোগী অধ্যাপক থাকা অবস্থায় ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে অধ্যাপক পদমর্যাদার সচিব পদে তাকে পদায়ন করা হয়। এরপর থেকে তিনি ওই পদে রয়েছেন। দুইবছর আগে তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেল থেকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বের হওয়ার সময়। কেন ওই পাঁচ তারকা হোটেলে গিয়েছিলেন? গুলিবিদ্ধ হওয়ার একদিন পর দৈনিক প্রথম আলোর এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি দাবি করেন, ‘সমিতির একটি সভায় মিলিত হওয়ার জন্য।’ বাস্তবে বিসিএস শিক্ষা সমিতির কোনও সভা ছিলো না সেটি। গুলিবিদ্ধ হওয়ার রহস্য আজও অনুদঘাটিত। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি।

মাসুদা বেগম ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে থেকে গত বছর পর্যন্ত ঢাকা বোর্ডে ছিলেন। গত বছর তার স্বামীর কর্মস্থল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বরিশাল সদরের একটি সরকারি কলেজে বদলি করা হয় তাকে। কিন্তু তিনি ওই বদলির আদেশ বাতিল করে কুমিল্লার একটি কলেজে বদলি হয়েছেন সম্প্রতি। তাকে প্রায়ই দেখা যায় ঢাকা বোর্ড ও শিক্ষা অধিদপ্তরে। তিনি সরকারী কর্মকর্তা হয়ে দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি পদও দখল করে ছিলেন। ‘আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে চলাফেরা করি’ মর্মে হুমকি দিতেন ওই স্কুলের সবাইকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বার বার চিঠি দেয়া হয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন মাসুদা। মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন ছায়েফ উল্যাহ। বেসরকারি কলেজ থেকে আত্তীকৃত ছায়েফ উল্যাহ সাবেক শিক্ষামন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার ছিলেন কয়েকবছর। তখন তিনি প্রভাষক ছিলেন। কিন্তু ফিডার পূরণসহ পদোন্নতির বিভিন্ন শর্ত পূরণ ছাড়াই তিনি সহকারী ও সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি বাগান। এরপর মাদরাসা বোর্ডের রেজিষ্ট্রারের দায়িত্বে আসেন প্রথমে। পরে বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ বাগান। তার অধ্যাপক পদে পদোন্নতি নিয়ে ঘুপচি আদেশ জারির অভিযোগ রয়েছে। পাঁচবছরের বেশ সময় যাবত মাদরাসা বোর্ডেই রয়েছেন তিনি। গত ডিসেম্বরে ঘন ঘন সিলেটে গেছেন। এখন চট্টগ্রামে যাচ্ছেন খোলস পাল্টানোর তরিকা খুঁজতে।

মাদরাসা বোর্ডের পরিদর্শক পদে রয়েছেন আবুল বাশার। বাশার তিনি ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে কলেজ থেকে বদলি হয়ে আসেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে। এরপর ছিলেন ঢাকা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদে। সে সময় প্রশ্ন ফাঁসেরও অভিযোগ উঠে। তারপরও তাকে আবার মাদরাসা বোর্ডে পদায়ন করা হয়।

২০০২ খ্রিস্টাব্দে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে পদায়ন পান মোঃ মুজিবর রহমান। ২০১৪ খ্রিস্টাব্দে বদলি জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমিতে (নায়েম)। এরপর আবার ২০১৫ থেকে রয়েছেন মাদরাসা বোর্ডের ডেপুটি রেজিস্ট্রার হিসেবে।

শিক্ষা অধিদপ্তরের আইন কর্মকর্তা আবুল কাশেম ২০০৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ও আলামিন সরকার ২০১৩ খ্রিস্টাব্দ থেকে রয়েছেন। নিম্নপদে চাকরি করছেন আফসার উদ্দিন। তিনি পাঁচ বছর যাবত একই পদে রয়েছেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের শিক্ষা কর্মকর্তা মাধ্যমিক পদটি প্রভাষকের। কিন্তু তিন বছর যাবত সহকারি অধ্যাপক আফসার কম বেতনে ওই পদে চাকরি করছেন। নানা পরিচয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ শাখার পরিচালক পদে রয়েছেন একজন জামাতপন্থী কর্মকর্তা। একই অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পদে বছরের পর বছর চাকরি করছেন মো: খোরশেদ আলম, তানভীর মোশারফ খান।

যশোর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জামাত সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল আলীম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ শিক্ষবিষয়ক সফরে অবৈধভাবে নাম ঢুকিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যান গত বছর। তার দলনেতা ছিলন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোল্লা জালাল উদ্দিন। কুমিল্লা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রন শাখায় রয়েছেন পালিয়ে যাওয়া সাবেক এপিএস বাড়ৈ সিন্ডিকেটের সদস্যরা।

সেসিপ প্রকল্পে কর্মরত একজন উপ-পরিচালক বিএনপি-জামাত জমানা থেকে ঘুরেফিরে শিক্ষা অধিদপ্তরেই রয়েছেন। বিএনপি আমলে তিনি ‘মান্নান কাকার’ বদৌলতে শিক্ষা অধিদপ্তরের ছিলেন। তত্তাবধায়ক আমলে কিছুদিনের জন্য ঢাকার বাইরে গেলেও ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে ফের অধিদপ্তরে চলে আসেন ‘মিনুকাকার’ সুপারিশে। সেসিপের যাবতীয় টেন্ডার, নিয়োগ বাণিজ্যে তার জুড়ি মেলা ভার। তবে, তিনি নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রগতিশীল ছিলেন বলে একটি ছবি দেখান সবাইকে। তার স্বামীও ঘুরেফিরে ঢাকায় ১৫ বছর যাবত।

ড. মাহবুবা ইসলাম পাতা নামের আরেক কর্মকর্তা মাউশি অধিদপ্তরের মনিটরিং শাখায় ১৮ বছর যাবত। তিনি সাবেক ছাত্রদল নেত্রী। মোহাম্মদ আবুল হোসেন কায়েস রয়েছেন প্রশিক্ষণ শাখায় ২০১৪ থেকে। অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক দিল আফরোজ বিনতে আছির রয়েছেন ২০০৬ থেকে। একই শাখার সবিনা বেগমকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দে বদলি করে আনেন জামাতপন্থী শিক্ষাসচিব মো: মোমতাজুল ইসলাম। ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেই শিক্ষাসচিব মো: মোমতাজুল ইলসামকে ওএসডি ও পরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠিয়ে দেয়। সোকয়েপ প্রকল্পের মোস্তাফিজুর রহমান ডাচবাংলা ব্যাংক থেকে সুবিধা নেন কয়েক বছর যাবত।

শিক্ষা অধিদপ্তরের অন্যতম প্রধান লোভনীয় পদে দীর্ঘদিন থাকা মো: তাজিব উদ্দিনকে লোক প্রশাসন কেন্দ্রে পদায়ন করা হয়েছে। কলেজ জাতীয়করণের লক্ষ্যে পরিদর্শন পদ সৃজনে সবচেয়ে লাভবান হওয়ার অভিযোগ তাজিব উদ্দিনের বিরুদ্ধে।

মাধ্যমিক শিক্ষা উপবৃত্তি, ২য় পর্যায় প্রকল্পের শেখ মো: বদরুল আলম দীর্ঘদিন ডিআইএতে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে শত শত অভিযোগ ছিলো। তিনি এই প্রকল্পে পদায়ন বাগিয়েছেন গত বছর। একই প্রকল্পে মো: ফরিদ আহমেদ আছেন ১৮ বছর যাবত। একই প্রকল্পে বিতর্কিত মো: তৌফিক এরফান রয়েছেন ১০ বছর যাব্ত।

ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরে থাকা কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগপন্থীদের প্রতি বিরুপ মনোভাব পোষণ করতে দেখা গেছে গত কয়েকবছর যাবত। সাবেক এপিএস বাড়ৈর পরামর্শে তারা এসব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অপরদিকে, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন কিন্তু জীবনেও রাজধানীর কোনও প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সৌভাগ্য হয়নি কয়েকজনের। তাদের মধ্যে নূর কুতব উল আলম রয়েছেন গোপালগঞ্জে, তরিকুল ইসলাম বাবু মানিকগঞ্জে, রাজীব কুমার দাস আছেন মুন্সীগঞ্জে, শামীম আছেন মানিকগঞ্জের দেবেন্দ্র কলেজে। উত্তম কুমার আছেন গোপালগঞ্জে, সুশান্ত কুমার দশ বছর ঢাকার বাইরে ছিলেন তিন মাস আগে ঢাকা জেলার একটি কলেজে বদলি হতে পেরেছেন। কামাল বিন আলী রয়েছেন সিলেট আলিয়া মাদরাাসায়। আসাদুজ্জামান ইবরাহীম রয়েছেন ফরিদপুরের রাজেন্দ্র কলেজে। স্নিগ্ধা বাউল বছরের পর বছর পঞ্চগড় থেকে মোহাম্মদপুর কলেজে বদলি হতে পেরেছেন সম্প্রতি। মো: সেলিম রয়েছেন দিনাজপুর কলেজে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। প্রদীপ চক্রবর্তী পিরোজপুরে রয়েছেন। তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র লীগের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। জাহিদ মিন্টু বরগুণা সরকারি কলেজে রয়েছেন। কামরুল হাসান রয়েছেন ঝালকাঠীতে। রাকীব হোসেন সুমন রয়েছেন লক্ষীপুরে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন। তুষার রয়েছেন কক্সবাজারে। দীনবন্ধু বর্মন রয়েছেন ভাওয়াল বদরে আলম কলেজে। সূত্র:দৈনিকশিক্ষাডটকম