নিজস্ব প্রতিদেক: দেশের সর্বদক্ষিণ পশ্চিম সীমান্ত জনপদ সাতক্ষীরার উন্নয়নে কাজ করতে চান তারা। এতোদিনের ছোট পরিসরের কাজ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছেন। এবার বৃহৎ পরিসরে সেবা দিতে চান সাতক্ষীরার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী নারীরা। তারা এরই মধ্যে জনসংযোগ করেছেন। নিজের রাজনীতি ও কর্মপরিধি তুলে নতুন নতুন প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। সংরক্ষিত আসন ৩১২ এর সদস্য মনোনীত হলে তারা জনগণের কল্যাণে আরও কাজ করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন। এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাতক্ষীরার অনেক নারী এখন মনোনয়নের প্রতীক্ষায়। তবে এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা জীবনে কোনদিন দলীয় কোন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ পর্যন্ত করেননি। তবে বেশ কয়েকজন প্রার্থী দীর্ঘদিন ধরে মাঠে সক্রিয় আছেন। লায়লা পারভিন সেঁজুতি। তার বাবা প্রখ্যাত আওয়ামী লীগ নেতা সম আলাউদ্দিন ১৯৭০ এর প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য ছিলেন। ১৯৭১ এ এমপিএ হিসাবে অস্ত্র হাতে নিয়ে সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বের সাথে অংশ নেন। এরপর ভোমরা স্থল বন্দর প্রতিষ্ঠা, চেম্বার অব কমার্স প্রতিষ্ঠা, দৈনিক পত্রদূত পত্রিকা সম্পাদনা, সাতক্ষীরায় বৃত্তিমূলক ও কারিগরি স্কুল প্রতিষ্ঠার সূচনা করেন তিনি। ১৯৯৬ এর সপ্তম সংসদ নির্বাচনের মাত্র সাত দিনের মাথায় ১৯ জুন সম আলাউদ্দিনকে দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। আর এই শোকাবহ পরিস্থিতিতে তার মেয়ে লায়লা পারভিন সেঁজুতি বাবার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার ব্রত গ্রহন করেন। সেই সময়ে রাজনীতিতে প্রবেশ তার। এখন মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব। একই সাথে জেলা মহিলা লীগের যুগ্ম সম্পাদক। বাবার প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু পেশা ভিত্তিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকও। ২০১৬ সালে মহিলা আওয়ামী লেিগর যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন । ২০১৩ -২০১৪ সালে গণজাগরন মঞ্চের বলিষ্ঠ সংগঠক ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে তিনি সাতক্ষীরার বহুল প্রচারিত দৈনিক পত্রদূত পত্রিকার সম্পাদক। ২০০১ , ২০০৮ ,২০১৪ এবং ২০১৮ এর সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলের প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়ে তিনি অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। তার প্রত্যাশা সংসদ সদস্য মনোনীত হলে বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ঠ সৈনিক বাবার স্বপ্ন পূরণ করা। একই লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছেন সাতক্ষীরা জেলা পরিষদের সদস্য জজ আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শাহনাজ পারভিন মিলি। ১৯৯৩ তে সাতক্ষীরা মহিলা কলেজের ছাত্রী হিসাবে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখান তিনি। ২০০১ সালে আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হন মিলি। কিছুদিন পর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এবং বর্তমানে সহ সভাপতি শাহনাজ পারভিন মিলি জেলা বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। কাজের স্বীকৃতি হিসাবে পেয়েছেন সদর উপজেলা ও জেলা জয়তী পুরস্কার। সংসদ সদস্য মনোনীত হলে তিনি জনগণের জন্য আরও কাজ করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন। সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাতক্ষীরা জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক জোৎ¯œা আরা। সাতক্ষীরা পৌরসভার দুই বারের কাউন্সিলর জোৎ¯œা ১৯৯৩ তে জেলা ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত জেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯৭ তে জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ২০১৭ সালে কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পরে জেলা সংগঠনের সম্পাদকের দায়িত্ব লাভ করেন। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে সাতক্ষীরার উন্নয়নে অংশগ্রহণ তার দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এসব প্রার্থীরা অপেক্ষায় রয়েছেন দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির।