দেশের খবর: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটের ‘মহাডাকাতি’ হয়েছে অভিযোগ করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘জনগণের ভোটাধিকার ছিনতাই করা হয়েছে। এসব করে কেউ পার পাবে না।’
রাজধানীর মতিঝিলের গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শুক্রবার ঢাকা-৬ আসনের নির্বাচনোত্তর শুভেচ্ছা বিনিময় সভায় ড. কামাল এসব কথা বলেন। ঢাকা-৬ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরীর পক্ষে কাজ করা নেতাকর্মীদের সঙ্গে এ শুভেচ্ছা বিনিময় সভা হয়।
কামাল হোসেন বলেন, ‘নির্বাচনের নামে শুধু প্রহসন নয়, সারা দেশে ভোট মহাডাকাতি হয়েছে। একজনও বলে নাই এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। যারা করেছে তারা নিজেরাই নির্বাচিত না। রাষ্ট্রকে হাইজ্যাক করে জনগণের ভোটাধিকার হাইজ্যাক করেছে।’
বঙ্গবন্ধু ও তার সহকর্মী যারা স্বাধীনতার জন্য জীবন দিয়েছেন তাদের ‘অসম্মান ও অবমাননা’ করা হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘সারা দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বলতে হবে, এটা হতে দেওয়া হবে না। যারা এগুলো করেছে, তাদেরকে সতর্ক করছি— বাংলাদেশে এগুলো করে কেউ পার পাবে না। এই দেশের ইতিহাস, গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। বহু স্বৈরাচার দেখেছি। একজন স্বৈরাচারও টিকতে পারেনি। শোষকদের বারবার শিক্ষা দেওয়া হয়েছে।’
শাসক দল হাজার হাজার কোটি টাকা ডাকাতি করেছে অভিযোগ করে কামাল হোসেন বলেন, ‘স্বাধীন দেশের মানুষকে অসহায় অবস্থায় ফেলে দিয়েছে। এই অসহায় অবস্থা সাময়িক। মানুষ সংঘবদ্ধ হচ্ছে।’
যারা শোষণ করছে ও জনগণের সম্পদ লুটপাট করছে তাদের উদ্দেশে গণফোরাম সভাপতি বলেন, তারা যেন দ্রুত এসব থেকে বিরত থেকে লুণ্ঠিত সম্পদ মানুষকে বুঝিয়ে দিয়ে সরে পড়ে।
দেশে কোনো উত্তেজনা তৈরি হোক, তা চান না জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর হতে যাচ্ছে, দেশে প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে, শ্রমিক, কৃষক, প্রবাসীরা অসাধারণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। তাদের অবদানকে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।
গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রকে লাইফ সাপোর্টে পাঠিয়েছিলেন। আর এবার গণতন্ত্রকে লাশ করে দিয়েছেন।’