অনলাইন ডেস্ক : দুর্নীতির দুই মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তারে আরো একটি পরোয়ানা জারি হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও জাতি বিভেদ সৃষ্টির অভিযোগের মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এই পরোয়ানা জারি হয়েছে। রবিবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মাদ জসিম এ পরোয়ানা জারি করে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি গ্রেপ্তার সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪ সালের ২১ অক্টোবর বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকীর এ মামলাটি করেন। ওইদিন আদালত শুনানি শেষে শাহবাগ থানার ওসিকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। ২০১৮ সালের ৩০ জুন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা পাওয়া গেছে মর্মে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাফর আলী বিশ্বাস। গত ২৩ জুলাই বাদী ওই প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত ১৪ অক্টোবর বিকালে হিন্দু সম্প্রদায়ের শুভ বিজয়া অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মালম্বীকারীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে বলেছেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ধর্ম নিরপেক্ষতার মুখোশ পরে আছে। আসলে দলটি ধর্মহীনতায় বিশ্বাসী। ওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয়। হরতালের সময় তারা পুরান ঢাকায় বিশ্বজিতকে হত্যা করেছে। নারায়নগঞ্জে ৭ খুনের ঘটনায় তারা চন্দন সরকারকে র্যাব দিয়ে ধরে নিয়ে খুন করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে হিন্দুদের সম্পত্তি দখল করেছে। হিন্দুদের ওপর হামলা করেছে। আওয়ামী লীগ হিন্দুদের ওপর হামলার সময় বলে, তোরা হিন্দু হয়ে বিএনপি করিস কেন?’ মামলায় বলা হয়, খালেদা জিয়ার এ সকল বক্তব্য যেমন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছে তেমনী হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে শ্রেণিগত বিভেদও সৃষ্টি করেছে। যা দণ্ডবিধির ১৫৩(ক) ও ২৯৫ (ক) ধারার অপরাধ। গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অপফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে খালেদা জিয়া কারাগারে বন্দি। পরে উচ্চ আদালত তার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করে। বন্দি অবস্থাতেই খালেদা জিয়া আরো একটি মামলায় সাজার রায় পেয়েছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। র্নীতির আরো চারটি মামলা চলছে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ছাড়াও একাধিক মামলায় রয়েছে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা।